ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায় আছে যা অনেক কার্যকরি। কিন্তু আমরা অনেকেই তা জানি না। আমাদের দেহে এমন অনেক রোগ ছড়িয়ে থাকে যেসব রোগ আদতে ছোট ক্যাটাগরির রোগ মনে হলোও এর দ্বারা ঘটে যাওয়া ক্ষতি কিন্তু মারাত্মক! ছোট রোগ হিসেবে ধরে নেওয়ায় আমরা আবার এসব রোগ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামানোরও প্রয়োজন মনে করি না। যা পরবর্তীতে বিরাট ক্ষতি ডেকে আনে। ঠিক তেমনই একটি রোগ হলো ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। অস্বাভাবিক কোনো কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা আবশ্যক।
চলুন তবে আজ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এবং “ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায়“, ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ, মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ, ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ হলে যা খাবেন ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
সুচিপত্র
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ কি?
শুরুতেই আমরা জানবো ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ সম্পর্কে। কেননা রোগের কারণ বুঝতে পারলে এর প্রতিকার এবং অন্যান্য টিপস সম্পর্কে জানাটা সহজ হয়ে উঠবে।
১: ইউটিআই রোগ:
ইউটিআই রোগ বলতে মূত্রনালীর সংক্রমণকে বোঝানো হয়ে থাকে। যা মানুষের প্রস্রাবের পরিমাণকে স্বাভাবিকের তুলনায় আরো বেশি পরিমাণে বাড়িয়ে তোলে। গবেষণা বলছে পৃথিবী সর্বমোট ৬০% পর্যন্ত রোগীর জীবনের কোনো না কোনো সময়ে UTI রোগ ধরা পড়েছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এই রোগটি বেশ কমন!
ইউটিআই রোগের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাব ছাড়াও প্রস্রাবে রক্ত এবং প্রস্রাবে তীব্র গন্ধ দেখা দিতে পারে৷ পাশাপাশি এই রোগের লক্ষ্মণ হিসেবে কাজ করে প্রস্রাবের সাথে জ্বালাপোড়া করা, তলপেটে প্রচুর ব্যথা করা, মাঝেমধ্যেই বেশ আয়োজন করে জ্বর আসা, ঘন ঘন পিঠে ব্যাথা করা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
২: অ্যাপেনডিসাইটিস রোগ:
এই অ্যাপেনডিসাইটিস রোগের কারণে অনেক সময় রোগীর মাঝে ঘন ঘন প্রস্রাবের লক্ষ্মণ দেখা যায়। বলে রাখা ভালো অ্যাপেনডিসাইটিস রোগ হলো আমাদের মানবদেহের একটি সাধারণ অস্ত্রোপচারের জরুরি অবস্থা। যারা পেটে অস্ত্রোপচার করিয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই ধরণের রোগ দেখা যায়।
ঘন ঘন প্রস্রাব ছাড়াও যাদের অ্যাপেনডিসাইটিস রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মূত্রনালীর জ্বালাতন ভোগ করতে হয়। আপনার প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করতে কাজ করে থাকে। মূলত পেটের নিচের ডানদিকে ব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, ক্ষুধা কমে যাওয়া, ঘন ঘন জ্বর আসা, কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ সৃষ্টি হওয়া কিংবা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি হলো অ্যাপেনডিসাইটিস রোগের কমন কিছু লক্ষ্মণ।
৩: ডায়াবেটিস রোগ:
যারা ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছেন তাদের ক্ষেত্রে অনেকগুলি প্রাথমিক লক্ষ্মণের মাঝে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার ব্যপারটি কাজ করতে পারে। সোজা কথায় ডায়াবেটিস রোগ হলো ঘন ঘন প্রস্রাবের একটি সাধারণ কারণ। সাধারণত এই অবস্থায়, আপনার শরীর হয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করে না বা এতে থাকা ইনসুলিন ব্যবহার করে তা কাজে লাগাতে পারে না। যা আপনার কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গগুলির ক্ষেত্রে রক্তে গ্লুকোজ (ব্লাড সুগার) মাত্রা বৃদ্ধি করে তোলে এবং তা গুরুতর জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাবের ক্ষেত্রে যদি আপনার দেহে ডায়াবেটিস রোগ দায়ী থাকে তবে সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে এই রোগের মাত্রা বর্তমানে অতিরিক্ত পরিমাণ বেড়েছে। এই অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং ঘন ঘন প্রস্রাব সম্পর্কিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার টিপসগুলি ফলো করতে হবে।
৪: গর্ভাবস্থায় থাকলে:
মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। মূলত গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে, হরমোনের পরিবর্তন আপনাকে প্রায়শই প্রস্রাব করার মতো সমস্যায় ফেলতে পারে৷ প্রস্রাবের এই ফ্রিকোয়েন্সি গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ক্রমবর্ধমান জরায়ু আপনার মূত্রাশয়কে চাপ দিতে থাকলে সাধারণত এমনটা ঘটে থাকে। ও হ্যাঁ! আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার! মনে রাখবেন, গর্ভবতী থাকাকালীন সময়ে, আপনিও UTI রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সুতরাং সাবধান। আর যদি অবস্থার অবনতি ঘটে সেক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
৫: জরায়ু ফাইব্রয়েড পরিস্থিতি:
জরায়ু ফাইব্রয়েড হলো মানবদেহের একটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি। সাধারণ এবং সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে ৫০ বছরের মধ্যে যেকোনো সময় দেহে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে৷ তবে কখনো কখনো এই জরায়ু ফাইব্রয়েড অনেক বড় হয়ে যায়। ঠিক সে-সময় ঘন ঘন প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যেতে শুরু করে।
অনেকদিন ধরে পিরিয়ড চলতে থাকা, পিরিয়ডের সময় জরায়ুতে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করা, অনিয়মিত পিরিয়ড, পেলভিক ব্যাথা বা চাপ অনুভব করা ইত্যাদি হলো জরায়ু ফাইব্রয়েড বড় হয়ে যাওয়ার অন্যতম লক্ষ্মণ। এই রোগটি এতোটাই বিপদজনক যে কখনো ঔষধেও রোগটিকে সারানো যায় না। প্রয়োজন পড়ে অস্ত্রোপচারের!
৬: কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ:
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ খুব কমন একটা রোগে পরিনত হয়েছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ মনে রাখবেন সপ্তাহে যদি আপনার মাত্র ৩ বার মলত্যাগ করবার প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে আপনাকে ধরে নিতে হবে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত!
যাদের খুব বেশি স্ট্রিক্ট ডায়েট করেন এবং ফাইবার, পানি কম গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ওপিওডস বা অ্যান্টিহিস্টামিন…. এই টাইপের ঔষধ সেবনের কারণেও মানবদেহে কোষ্ঠকাঠিন্যের মাত্রা বেড়ে যায়। পাশাপাশি যাদের হাইপোথাইরয়েডিজম রোগ রয়েছে এবং যারা বর্তমানে এই রোগের চিকিৎসা করাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রেও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ এবং এর কারণে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উপরে আলোচিত রোগগুলির বাইরেও যদি আপনার ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা কাজ করে সেক্ষেত্রে শেষ ভরসা হিসেবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় টেস্ট এবং বিভিন্ন স্টেপ শেষে জানা যাবে আপনার এই ঘন ঘন প্রস্রাবজনিত সমস্যা গোড়ার কারণটুকু কি সে-সম্পর্কে!
ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায়:
এবারের অংশে আমরা আলোচনা করবো ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার প্রতিকার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে। তবে তার আগে বলে রাখি অস্বাভাবিকভাবে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার এই সমস্যাটি বেড়ে গেলে শুরুতেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এতে করে ঠিক কোন রোগের জন্যে আপনার এই সমস্যাটি বারবার দেখা দিচ্ছে তা খুঁজে বের করে প্রতিকার করা সম্ভব হবে।
- লবণের সীমাবদ্ধতা: যারা উচ্চ পরিমাণে লবণ খান তাদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়ার সমস্যাটি অনেক বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ গ্রহণ করলে রাতের দিকে বারবার বিছানা ছাড়বার প্রয়োজন পড়ে। সুতরাং যারা খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করেন এবং কাঁচা লবণ খান তারা এখন থেকেই সতর্ক হয়ে যাবার চেষ্টা করুন।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার চেষ্টা করুন: ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যায় পড়ার অন্যতম কারণ হলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যয় ভোগা। এক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার চেষ্টা করতে পারে। শুরুতে খাবারের দিকে ফোকাস করতে পারেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে বেশি করে আপেল, মিষ্টি আলু, মটরশুটি, কলা, বাদামী চাল এবং চেরি ফল খেতে পারলে এই রোগ কমে আসে। এতে করে ঘন ঘন প্রস্রাবজনিত সমস্যারও প্রতিকার পাওয়া যায়।
- জিরা খেতে পারেন: নিয়মিত জিরা খেতে পারলে কেবল ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াই নয়! এর পাশাপাশি হজমের সমস্যাও দূর হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে নিয়ম মেনে জিরা খেতে হবে। কেননা অতিরিক্ত পরিমাণে জিরা খেলেও শরীরে এর বাড়তি প্রভাব পড়তে পারে। প্রস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রতিদিন ১ গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে জিরা মিশিয়ে খেয়ে নিন। যারা এভাবে জিরা খেতে অভ্যস্ত নন তারা চাইলে পানিটুকু ছেঁকে নিতে পারেন। তবে না ছেঁকে খেতে পারলে দ্রুত সুবিধা ভোগ করা যাবে।
- দারুচিনির গুঁড়া: দারুচিনি গুঁড়াতে সাধারণত থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। এটি যেমন মানুষের ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ কমাতে সাহায্য করে ঠিক তেমনই এর আশেপাশে জ্বালাপোড়া কমিয়ে আনে। পাশাপাশি কিডনির যত্নতেও কাজ করে এই দারুচিনির গুঁড়া। দারুচিনির গুঁড়া আজকাল বাজারে পাওয়া যায়। তবে আপনার আশপাশের কোনো দোকানে যদি তা না পান তবে নিজেই ব্লেন্ডার মেশিন কিংবা বাটা-বাটির যন্ত্রপাতির সাহায্যে তৈরি করে নিতে পারেন। দারুচিনির গুঁড়া আপনি চাইলে পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন কিংবা শুধু শুধুও গ্রহণ করতে পারেন।
- দই খেতে পারেন: দই হলো আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান প্রোবায়োটিক এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র যারা নিশ্চিত করতে চান তারা প্রতিদিন খাবারের পরে কিছুটা দই খেয়ে নিতে পারেন। দই যেমন আমাদের কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ঠিক তেমনই ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে রাখে।
- অ্যালোভেরার রস: অ্যালোভেরাকে দশ কাজের এক কাজ বলা হয়। চুল থেকে শুরু করে দেহের বিভিন্ন অংশের যত্নের ক্ষেত্রে এই অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। আপনার যদি ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে এবং কোনোভাবেই এই সমস্যা থেকে বের হতে না পারেন সেক্ষেত্রে অ্যালোভেরার রস ট্রাই করতে পারেন। এটি আপনার কিডনিকেও শতভাগ সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। অ্যালোভেরার রস নিতে হলে অ্যালোভেরার গাছ থেকে জেল সংগ্রহ করে নিতে হবে। সেখান থেকে জেল এবং কিছু পানি ব্লেন্ড করে রস বের করতে হবে।
- বেকিং সোডা: বেকিং সোডার সাহায্যেও আপনি চাইলে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে এক গ্লাস পানির সাথে এক চা চামচ বেকিং শোডা মিশিয়ে নিতে হবে। প্রতি ৩/৪ দিন পর পর এই পানি খেলে খুব দ্রুত অতিরিক্ত প্রস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন৷
- সেদ্ধ পালং শাক: বাংলাদেশে শাক পাওয়াটা যেনো কোনো ব্যাপারই না। বাজার কিংবা মাঠ থেকে পালং শাক সংগ্রহ করে তা স্যুপের মতো সিদ্ধ করে রান্না করে নিন। খেতে হয়তো খুব একটা ভালো লাগবে না! তবে এর কার্যকারিতা আপনাকে অবাক করবে। এই খাবারটি অতিরিক্ত প্রস্রাবের সমস্যাই নয়, বরং প্রস্রাবের কম বা বেশি ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।
পাশাপাশি এগুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।
- ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত
- ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি খাওয়া উচিত
- ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ
- শীতকালে ঘন ঘন প্রস্রাব হয় কেন
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া সম্পর্কিত সমস্যার বাড়তি টিপস:
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে তো বিশাল আলোচনা করা গেলো। মোটামুটি সকল প্রতিকার সম্পর্কেই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি এসব টিপস ফলো করতে হয়তো আপনাকে খুব একটা জটিলতায়ও পড়তে হবে না। এবার বোনাস হিসেবে থাকছে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া সম্পর্কিত সমস্যার কিছু বাড়তি টিপস!
- চা, কফি পান করার পরিমাণ কমিয় দিন।
- অনেকবেশি তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
- অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা কমিয়ে আনুন।
- অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন থেকে বেরিয়ে আসুন।
- যেকোনো রোগের লক্ষ্মণ চোখে পড়লেই অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বিঃদ্রঃ অনেকেই আছেন, যারা কোনো রোগের আক্রান্ত হলেই নিজে নিজে ঔষধ সাজেস্ট করে তা সেবন শুরু করে ফেলেন! যার চরম আকারের বোকামি। অনেক সময় এতে করে হিতে-বিপরীতও হতে পারে। সরাসরি ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় টেস্ট করিয়ে আগে রোগ সম্পর্কে জানুন। পরবর্তীতে ডাক্তার নিজেই আপনাকে ঔষধ সাজেস্ট করবেন। মনে রাখবেন ঘন ঘন প্রস্রাব সম্পর্কিত সমস্যা সাথে কিডনি জড়িত। কোনো ভুল ঔষধ সেবনে হয়তো আপনার কিডনি পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
ইতি কথা
ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায়, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এবং ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ, ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ হলে যা খাবেন, মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ, ইত্যাদি সম্পর্কে এ-সম্পর্কিত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে এই ছিলো আমাদের আলোচনা।
আশা করি পুরো আর্টিকেলটি আপনাকে সম্পর্কিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করবে। তবে সাবধান! চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনোভাবেই ঔষধ সেবন করা যাবে না। রোগের পরিস্থিতি বুঝে চিকিৎসক নিজেই ঔষধ এবং ঔষধের পরিমাণ সাজেস্ট করবেন। প্রতিটি পাঠকের দৈহিক সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে যদি আপনার আরো কিছু জানার থাকে তবে কমেন্ট বক্সে জানান। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য।