আপনি যদি জানতে চান যে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের পদ্ধতি গুলি কি কি? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ এই নিবন্ধে আজ আমরা আলোচনা করবো আজকে কি বৃষ্টি হবে, কালকে কি বৃষ্টি হবে, এই উইকএন্ডে কি বৃষ্টি হতে পারে, আগামীকাল কি বৃষ্টি হবে, আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে বৃষ্টি হবে কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে।
বৃষ্টির জলে মন ভেজাতে চায় না এমন কাউকে হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না। কিছু কিছু ব্যাক্তি হয়তো প্রচন্ডরকমের বাস্তববাদী। তবে বেশিরভাগ মানুষই এই বৃষ্টির জলের প্রতি আলাদা আগ্রহী মনোভাব পুষে রাখে। আর যারা কিছুটা লজিক্যাল টাইপের মানুষ এবং সবকিছুতেই একটি গবেষণা গবেষণা ভাব নিয়ে থাকে। সবসময়ই দেখা যায় বৃষ্টির জল নিয়ে তাদের মাথায় বেশকিছু প্রশ্ন ঘুরতে থাকে।
এসব প্রশ্নের মাঝে সবচেয়ে একটি কমন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো বৃষ্টির জল সংরক্ষণের পদ্ধতি গুলি কি কি…. এই-বিষয়ক! চলুন আজ আলোচনা করা যাক বৃষ্টির জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করার উপায় এবং বৃষ্টির জল সংরক্ষণের অসুবিধা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যাবলি।
বৃষ্টির জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কি?
আমরা হয়তো অনেকেই বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ব্যাপারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে একেবারে অবগতই নই। শুরুতে বলে রাখি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যাপারটিকে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং কিংবা ওয়াটার হার্ভেস্টিং বলা হয়ে থাকে৷ নিচে এই ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো।
১) প্রাণের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা:
প্রাণের অস্তিত্ব নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে সকলেরই সচেতন হওয়া উচিত। সময়ের সাথে সাথে মিঠা পানির উৎস দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ছে। যা প্রাণীকুলকে বিপদের মুখে ঢেলে দিচ্ছে। যেহেতু পানি মানেই জীবনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
আর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে আমরা পানির বিভিন্ন প্রকারভেদের মাঝে বেশিরভাগ সময়েই কেবল মিঠা পানিই পান করে থাকি। অন্যদিকে বৃষ্টির পানিও কিন্তু পানযোগ্য। সবমিলিয়ে মিঠা পানির উৎস দুষ্প্রাপ্যতাকে দূর করে প্রাণের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে দরকার বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২) সেচের জন্যে প্রয়োজনীয় পানির ব্যবস্থা:
আমরা সকলেই জানি সেচের জন্য প্রচুর পরিমাণে জল ব্যবহার করা হয় এবং সেচ খাতে যথাযথ জল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে না পারলে কৃষিখাতে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না। অন্যদিকে খাল কিংবা নদীর মাধ্যমে অতিরিক্ত সেচের ফলে বন্যাসহ বিভিন্ন জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হতে পারে।
আর সেচের জন্যে আমরা বর্তমানে যে পানি ব্যবহার করছি তার বেশিরভাগই লবণাক্ত পানি। এর ফলে মাটি অনুর্বর হয়ে পড়তেও সময় নিচ্ছে না। এমতাবস্থায় বৃষ্টির জল ড্রামে কিংবা অন্য কোনো বিশাল পাত্রে সংরক্ষণ করে রাখতে পারলে সেচের জন্যে প্রয়োজনীয় পানির ব্যবস্থা যেমন নিশ্চিত হবে ঠিক তেমনই মাটির উর্বরতাও ঠিক থাকবে।
৩) শিল্পকারখানায় পানির প্রয়োজনীয়তা পূরণ:
আমরা সকলেই জানি শিল্পকারখানায় কাঁচামালকে বিভিন্ন প্রোডাক্টে রূপ দিতে দরকার প্রয়োজনীয় পরিমাণের পানি। তবে মজার ব্যাপার হলো এই খাতে পানি সংরক্ষণ এবং ব্যবহারের ফলে অর্থনীতির দুটি সুবিধা হবে। প্রথমত, সংরক্ষিত পানি অন্য খাতের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন জলাশয় থেকে সৃষ্টি হওয়া পানি সংরক্ষণ চাপটাও কমে আসবে৷ সুতরাং বুঝতেই পারছেন যেকোনো শিল্পাঞ্চলের অতিরিক্ত পানির প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে এই বৃষ্টি থেকে সংরক্ষণ করা পানি!
৪) এলাকায় পানি সংকটের সমস্যা দূরীকরণ:
অনেকসময় বিভিন্ন এলাকায় এমনকি আস্ত একটি জেলাতেও পানির সংকট সৃষ্টি হতে পারে। যা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো এমন সমস্যা হয়তো বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে অনেক বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করার প্রয়োজন পড়তে পারে।
কারণ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার কারণে সৃষ্টি হওয়া অন্যতম একটি ভোগান্তি হলো নির্দিষ্ট এলাকায় পানি সংকটের সমস্যা দেখা দেওয়া। এক্ষেত্রে পানযোগ্য পানির ব্যবস্থা করতে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করা যেতে পারে৷ বিশেষ করে শহরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা এলাকায় পানি সংকটের সমস্যা দূরীকরণে অনেক বেশি সুবিধা দেয়।
৫) খরা কবলিত কৃষিজমির যত্ন:
অনেক সময় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকার জমিগুলি খরার কারণে পানিশূন্যতায় ভোগে। ফলে মাটি হয়ে পড়ে অনুর্বর। আর সেই অনুর্বর মাটি থেকে আশানুরূপ ফসল তো পাওয়ায় যায় না! উল্টো গুনতে হয় আচ্ছামতো লস! সবমিলিয়ে দেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের ইনভেস্টমেন্টে পড়ে বাজ। এক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করা যেতে পারে।
সেই সংরক্ষণ করা পানির অংশ থেকে শস্য ফলানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ব্যবহার করা যায়। ড্রামে ড্রামে কিংবা গ্যালনে গ্যালনে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা ছাড়াও কৃষিকাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এবং শুষ্ক পরিবেশে কৃষি কাজ উন্নত করতে মাটির কিনারায় শৈলশিরা নির্মান করা যেতে পারে। এতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখাটা সহজ হয়ে যায়।
বৃষ্টির জল সংরক্ষণের পদ্ধতি গুলি কি কি?
এবার আসি বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করার উপায় সম্পর্কে। বৃষ্টির জল যেহেতু আমাদের দেশে সবসময়ই পাওয়া যায় না সেহেতু দীর্ঘদিন ধরে এই পানিকে সংগ্রহে রাখতে হবে এবং সে-ভাবেই তা প্রক্রিয়াজাত করে নিতে হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বৃষ্টির জল সংরক্ষণের পদ্ধতি গুলি কি কিহতে পারে সে-সম্পর্কে।
১) সৌর প্যানেলের সাহায্যে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ:
আপনি জেনে খুশি হবেন সৌর প্যানেলের সাহায্যে সংগ্রহ করা বৃষ্টির পানি সম্পূর্ণভাবে বিশুদ্ধ হয়ে থাকে। যা পানও করা যাবে। আবার দৈনন্দিন কাজেও বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যাবে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে খরাপ্রবণ দেশে এই সৌর প্যানেল সিস্টেমে পানি সংগ্রহ করার পদ্ধতিটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এভাবে পানি সংগ্রহ করতে হলে প্রি-ফিল্টারেশন ওয়াইসি ফিল্টারের সাহায্যে বৃষ্টির পানি সরাসরি স্টোরেজ ট্যাঙ্কে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সৌর প্যানেলের সাহায্যে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় মেশিন এবং জিনিসপত্র কিনতে হলে আপনাকে ভালো কোনো হার্ডওয়ারের দোকানে যেতে হবে।
২) সারফেস রানঅফ হার্ভেস্টিং:
বৃষ্টির জল সংরক্ষণের পদ্ধতি গুলির মধ্যে সারফেস রানঅফ হার্ভেস্টিং এটি একটি অন্যতম উপায়। সারফেস রানঅফ হার্ভেস্টিং মূলত শহরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সবচেয়ে অর্থবহ এবং সহজ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ফেইক জলাশয় কিংবা বড়সড় লেক তৈরি করে পানি সংগ্রহ করা হয়। যদিও এই পদ্ধতিতে সঠিকভাবে বৃষ্টির পানি ফিল্টার করার প্রয়োজন পড়ে।
সারফেস রানঅফ হার্ভেস্টিং পদ্ধতিতে আপনি যতটুকু বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে পারবেন তার পুরোটাই রান্নার কাজে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে কিংবা পান করা ক্ষেত্রে সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। সারফেস রানঅফ হার্ভেস্টিংয়ের ব্যবহৃত জিনিসপত্রগুলির দাম কিছুটা বেশি হলেও এসব জিনিসপত্র একবার কিনে ফেললে তা বহুবার ব্যবহার করতো পারেন।
৩) ছাদে বৃষ্টির জল সংগ্রহের পদ্ধতি:
যারা বাসাবাড়িতে থাকেন কিংবা যাদের পাকা ছাদ রয়েছে তারা এই পদ্ধতি অনুসরণ করে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করে রাখতে পারেন৷ এই সিস্টেমে কেবল বাসাবাড়ির ছাদই নয়, বরং বড়সড় অফিস, স্কুল, কলেজ, বিভিন্ন পাকা ভবনের ছাদ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হলে অবশ্যই বড় ছাদ রয়েছে এবং বাড়িকে টার্গেট করতে হবে। নতুবা কষ্ট যতটুকু হবে ততটুকু পানি সংগ্রহ করাটা সম্ভবই হবে না।
এক্ষেত্রে বড়সড় একটি পাত্র তৈরি করতে হবে। এই পাত্র আপনি চাইলে প্লাস্টিকের দোকান থেকে অর্ডার দিয়ে সুবিধামতো বানিয়ে নিতে পারেন। পাত্রটি সিঁড়িঘর কিংবা ছাদের যেকোনো পাশে বাসাতে হবে। অর্থ্যাৎ ছাদের নিচে কিংবা ছাদের উপরে যেকোনো স্থানে বসানো যেতে পারে। সবশেষে বৃষ্টির পানি ছাদে জমে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সুবিধামতো স্থান থেকে পাইপ সংযুক্ত করে তা পাত্র কিংবা ড্রামটিতে কানেক্ট করতে হবে। এই সিস্টেমে অবশ্যই পাইপের মাথায় ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
৪) বৃষ্টির পানি সংগ্রহে রিচার্জ পিটস সিস্টেম:
এটি হলো বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ সিস্টেম। তবে এক্ষেত্রে এলাকা বা স্থানটির বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিংবা চাপটুকু নিয়েও প্ল্যান করতে হয়। এক্ষেত্রে বালি, পাথর, সিমেন্ট ইত্যাদির সাহায্যে বড়সড় একটি ফিল্টার তৈরি করে নিতে হয়।
যারা ব্যাপারটিকে এখনো বুঝতে পারেননি তাদের উদ্দেশ্যে বলে রাখি এই সিস্টেমটিতে সাধারণত প্লাস্টিকের ট্যাঙ্কে বৃষ্টির জল ভরে রাখা হয়। যা বেশ প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। আর হ্যাঁ! বৃষ্টির পানি সংগ্রহে রিচার্জ পিটস সিস্টেম ফলো করতে হলে অবশ্যই আপনার পাকা ছাদ থাকতে হবে।
৫) রেইন সসার ছাতার ব্যবহার:
রেইন সসার ছাতার ব্যবহার করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের পদ্ধতি গুলির মধ্যে এটি একটি অন্যতম উপায়। রেইন সসার ছাতার ব্যবহারের মাধ্যমেও আপনি চাইলে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে পারেন। উন্নয়নশীল দেশগুলি যদি খরচ কমিয়ে নিজেদের পানির অভাব দূর করতে এই রেইন সসার ছাতার ব্যবহার করে বৃষ্টি সংগ্রহ করতে পারে তবে সেক্ষেত্রে ব্যাপারটি কিন্তু দারুণ কাজে লাগে।
একদিকে যেমন খরচ বাঁচে! অন্যদিকে আবার বৃষ্টির পানিও সংগ্রহ করে নেওয়া যায়। তবে এভাবে সংগ্রহ করা পানি বাগানে কিংবা কৃষিকাজে ব্যবহার করাটাই উত্তম।
৬) ডিটেনশন বেসিনের বৃষ্টির জল সংগ্রহ:
ডিটেনশন বেসিন হলো একধরনের বড় বেসিন। যা বৃষ্টির জল সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখে। এটি বৃষ্টির জল সংগ্রহ করার সবচেয়ে পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি। প্রাচীনকালে যখন খরা দেখা দিতো তার আগের সিজনে এভাবে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে রাখা হতো।
তবে বর্তমানে এই ডিটেনশন বেসিনের ব্যবহারের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় EPA হেডকোয়ার্টার সিস্টেম। বলে রাখা ভালো এই পদ্ধতিটি ব্যবহারের ফলে পানির গুণগত মান উন্নয়নও সম্ভব হয়।
৭) মাটির নিচে চেক ড্যাম নির্মাণ করা:
আপনি কি জানেন মাটির নিচেও বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করা যায়? মাটির নিচে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার পদ্ধতিকে চেক ড্যামিং সিস্টেম বলা হয়। যা সাধারণত তৈরি করা হয় যেকোনো জলপ্রবাহের উপর দিয়ে। বৃষ্টি হলে তা স্থলভাগ থেকে মাটির পানি চুইয়ে নিচের স্তরে পড়ে এবং ধীরে ধীরে তা জমা হতে থাকে।
কৃত্রিম উপায়ে এভাবে পানি চুইয়ে পড়ার মাধ্যমেও ভালো পরিমাণের পানি স্টক করে রাখা যায়। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ্যাৎ শুষ্ক মৌসুমে পানি ব্যবহারের জন্য তা স্থানীয় ভূগর্ভস্থ জলস্তর থেকে রিচার্জ করে নেওয়া যায়।
বৃষ্টির জল সংরক্ষণের অসুবিধা কি কি?
বৃষ্টির জল সংরক্ষণের পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তো জানলেন। এবার চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বৃষ্টির জল সংরক্ষণের অসুবিধাগুলি কি কি হতে পারে সে-সম্পর্কে! অনেক সময় এই বৃষ্টির জল সংগ্রহের ব্যাপারকে অযথা কাজে সময় নষ্ট মনে করা হয়। অনেকবেশি স্টেপ ফলো করার কারণে অনেকেই এটি এড়িয়ে চলে।
বৃষ্টিপাতের ব্যাপারটি যেহেতু অনুমানের উপর নির্ভর করে সেহেতু কেবল অনুমানের উপর এতোগুলি স্টেপ ফলো করাকে অনেকেই বোকামি মনে করতে পারে৷ অনেক বড় গ্যালোন কিংবা টাঙ্কি ম্যানেজ করতে হয়। যা অনেকের কাছেই দুঃসাধ্য ব্যাপার কিংবা ঝামেলার বিষয় মনে হতে পারে৷
ইতি কথা
আমাদের আজকের মূল আলোচনা ছিল বৃষ্টির জল সংরক্ষণের পদ্ধতি গুলি কি কি, আজকে কি বৃষ্টি হবে, কালকে কি বৃষ্টি হবে, এই উইকএন্ডে কি বৃষ্টি হতে পারে, আগামীকাল কি বৃষ্টি হবে, আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে বৃষ্টি হবে কিনা, রাত্রে কি বৃষ্টি হবে, আজ রাত্রে কি বৃষ্টি হবে, আজকের বৃষ্টির খবর এবং বৃষ্টি কবে হবে ইত্যাদি।
তো কেমন লাগলো আমাদের আজকের এই বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করার উপায় নিয়ে সাজানো আর্টিকেলটি? আশা করি এই আয়োজন আপনাকে কিছুটা হলেও উপকৃত করবে। বৃষ্টির জলের মতো এই নেয়ামত এবং আশীর্বাদের প্রতি আমাদের সকলেরই দায়িত্ববান হওয়া উচিত। এর সর্বোচ্চ ব্যবহারিক দিক নিশ্চিত করা উচিত। এতে করে সুপেয় পানি এবং সাধারণ বিশুদ্ধ পানির অভাবের মুখোমুখি হতে হবে না। আসুন আমরা বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে সচেতন হই এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করি। বৃষ্টির জল সংরক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে যদি আপনার কোনো মন্তব্য থাকে তবে কমেন্ট করে জানান