প্রথমবার প্রেগন্যান্সির মুখোমুখি যারা হোন তারা অনেকেই কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করালে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় এই সম্পর্কিত তথ্যের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকেন। এক্ষেত্রে চাইলে আমাদের আজকের এই ফুল গাইডলাইনটি ফলো করতে পারেন। আজ আমরা আলোচনা করবো “কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করালে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়”, টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট, প্রেগনেন্সির লক্ষ্মণ, প্রেগনেন্সি টেস্ট, প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট এর ব্যবহার প্রেগনেন্সির দ্বিতীয় মাসে রক্তপাত দেখা দিলে কি করনীয় সহ অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে। চলুন তবে একে একে সমস্ত তথ্য জেনে নেওয়া যাক!
সুচিপত্র
জেনে নিন প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি?
আপনি কি গর্ভাবস্থার সমস্ত প্রাথমিক লক্ষণগুলি সম্পর্কে জানেন? নাকি কেবল পিরিয়ড অফ হওয়া কিংবা বমি বমি ভাব কাজ করার মতো লক্ষ্মণগুলিকেই প্রেগন্যান্সির লক্ষ্মণ হিসেবে ধরে নেন? উত্তর যদি “হ্যাঁ” হয়, তবে জেনে নিন প্রেগন্যান্সির সকল লক্ষণ সম্পর্কে।
১. পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া:
এটি মূলত প্রেগন্যান্সির ব্যাপারটি ধরা পড়ার কমন একটি লক্ষ্মণ। যদি আপনার বাচ্চা নেওয়ার প্ল্যান থাকে সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মাসটির দিকে লক্ষ্য রাখুন। খেয়াল করুন পিরিয়ড হচ্ছে কিনা! যদি না হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ব্যাপারটিকে আপনি প্রেগন্যান্সির প্রাথমিক লক্ষ্মণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন।
২. বমি বমি ভাব কাজ করা:
যারা প্রেগন্যান্সির গুরুত্বপূর্ণ সময়ের দিকে এগিয়ে যাবেন তাদের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাবটি কাজ করতে পারে। ব্যাপারটা এমন যে কোনোকিছু খেতে নিলেই মনে হবে বমি-টমি চলে আসার সময় হয়ে গেছে! তবে এই লক্ষ্মণটিকে মোটেও একমাত্র লক্ষ্মণ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। কারণ অনেক সময় হরমোনজনিত কারণেও বমি বমি ভাবটা কাজ করে থাকে।
৩. সকালে অসুস্থতা বোধ করা:
প্রায় নারীই গর্ভাবস্তায় সকালের দিকে প্রচন্ড অসুস্থতা বোধ করে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। যদিও কেবল সকাল বেলাতেই নয়! এই সমস্যা দিনের যেকোনো সময়েই দেখা দিতে পারে।
৪. প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া:
এই সময়টাতে প্রস্রাবের পরিমাণটুকু বেড়ে যেতে পারে। এমনকি এই সময়টাতে আপনি নিজেকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘন ঘন প্রস্রাব করতে দেখবেন! মূলত প্রেগন্যান্সির সময় শরীরে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে কিডনির অতিরিক্ত পরিমাণ পানির দরকার পড়ে এবং তা ধরে রাখতে পারে৷
৫. মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া:
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে আপনার শরীরে হরমোনের অস্বাভাবিক কার্যক্রমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার ফলে মুহুর্তেই মেজাজ খারাপ হতে পারে, ঘন ঘন কান্না আসতে পারে, অতিরিক্ত আবেগ কাজ করার সম্ভাবনা থাকে।
৬. শরীর ফুলে যেতে পারে:
প্রেগন্যান্সির সময়ে সারা শরীরে ফুলে ঢোল হয়ে যায়। যা সাধারণত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে। তবে মাথায় রাখতে হবে এই সমস্যা কিন্তু সাধারণ সময়েও দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে পিরিয়ডের শুরুতে এমনটা ঘটতে পারে। সুতরাং এটিকেই প্রেগন্যান্সির একমাত্র লক্ষ্মণ মনে করে ভুল করা যাবে না।
৭. ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত দেখা দিতে পারে:
ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত মানে হলো হালকা দাগজনিত ব্যাপার। যা প্রেগন্যান্সির সময়ের শুরু থেকে পরবর্তী ১০/১৪ দিনের মধ্যে সকলের নজরে আসতে পারে। মূলত নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর আস্তরণের সাথে সংযুক্ত হওয়ার কারণে এমনটা ঘটে থাকে।
উপরের লক্ষ্মণগুলি ছাড়াও প্রেগন্যান্সির সময় খাবারের প্রতি অনীহা, ক্র্যাপিং, নাকের মিউকাস ঝিল্লি ফুলে যাওয়া এবং তা থেকে রক্তপাত ঘটা, সর্দি লেগে থাকা ইত্যাদি লক্ষ্মণগুলির ব্যাপারেও ভাবতে হবে।
টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম
একটি প্লাস্টিকের বাটিতে সকালের প্রস্রাব রাখতে হবে। এরপরে বাটিতে রাখা প্রস্রাবের সাথে এক চামচ পরিমান টুথপেস্ট মেশাতে হবে। আবার লক্ষ্য করবেন নীল হয়ে যায় কি না। যদি টুথপেস্ট নীল হয়ে যায় তবে বুজবেন যে আপনি সন্তানসম্ভবা বা প্রেগনেন্স।
আপনি ভিনিগার দিয়েও প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারবেন। প্লাস্টিকের বাটিতে সকালের প্রস্রাব রাখুন এবং তাতে ভিনিগার মেশান। এরপর লক্ষ্য করবেন ভিনিগার ও প্রশ্রাব মিশ্রণটি বুদবুদ তৈরি হয় কি না এবং রঙে পরিবর্তন ঘটে কিনা। যদি রঙে পরিবর্তন ঘটে তবে বুঝতে হবে যে আপনি সন্তানসম্ভবা বা প্রেগনেন্স। আর যদি রঙে পরিবর্তন না ঘটে তবে বুঝবেন আপনি প্রেগনেন্স না।
কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করা উচিত?
আমরা অনেকেই জানিনা যে কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করালে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়। অনেকেই প্রথমবার গর্ভবতী হতে চাওয়ার ব্যাপারে বেশ কনফিউশনে ভুগে থাকেন। এসব কনফিউজড পয়েন্টের মধ্যে অন্যতম পয়েন্ট হলো, কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করা উচিত সে-সম্পর্কিত সমস্যা!
এক্ষেত্রে চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, সহবাস কিংবা লিভ টুগেদারের অন্তত ২১ দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করা উচিত। তবে এক্ষেত্রে যদি পিরিয়ড হয়ে যায়, তাহলে আর টেস্ট করবার কোনো প্রয়োজন নেই। যাদের পিরিয়ড ডেইট মনে থাকে না তারাও ঠিক ২১ দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে পারেন।
প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ হওয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানোর পর যারা ইতিমধ্যেই পজেটিভ রেজাল্ট পেয়ে গেছেন, আর্টিকেলের এই অংশটি কেবলমাত্র তাদের জন্যই!
- ১ম বার টেস্ট করিয়ে বসে থাকলে চলবে না! অবশ্যই ২য় বার টেস্ট করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
- সবকিছু হিসাব করে গর্ভপাত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়টুকু সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। আগেভাগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখুন।
- যারা খুব বেশি আনন্দপ্রিয় মানুষ তারা চাইলে সময়টিকে স্পেশাল করে রাখার জন্য সাধ্যমতো আনন্দ আয়োজন করতে পারেন।
- অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার ব্যবস্থা রাখুন। সঠিক সময়ে চেক-আপসহ অন্যান্য কাজগুলি যেনো সেরে ফেলা যায় সে ব্যবস্থা করুন।
- ওব-গাইন বা একজন মিডওয়াইফের কাছ থেকে প্রেগন্যান্সির গুরুত্বপূর্ণ সময়টুকুতে কিভাবে চলতে হবে সে ব্যাপারে একটি গাইডলাইন কালেক্ট করে নিন।
- আগামী ৯ মাসে নির্দিষ্ট সময় পরপর বাচ্চার অবস্থা এবং মায়ের শারীরিক পরিস্থিতি ট্র্যাক করার ব্যবস্থা রাখুন।
- স্বাস্থ্যকর জীবন পরিচালনা করার চেষ্টা করুন। প্রেগন্যান্সির আগের সময়ে যদি অস্বাস্থ্যকর কোনো রুটিন ফলো করে থাকেন তবে তা বাচ্চার কথা ভেবে পরিবর্তন করে ফেলুন।
- নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণসহ সম্ভব হলে হালকা-পাতলা ব্যায়াম করুন। একে বারে শুয়ে-বসে সময় কাটানো ক্ষতিকর ডিসিশন হতে পারে৷
- যারা চাকুরিজীবী নারী তারা প্রেগন্যান্সি টেস্টে পজেটিভ রেজাল্ট পাওয়া মাত্রই মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্যে আবেদন করে তা মঞ্জুর করে নিন।
প্রেগনেন্সি টেস্ট নেগেটিভ হওয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
প্রেগনেন্সি টেস্ট নেগেটিভ হওয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে আমাদের আসলে কিছু ভুল থেকে বেরিয়ে আসার পয়েন্টগুলিতে ফোকাস করা উচিত। যেমন:
- পিরিয়ড মিস হওয়া মানেই কিন্তু প্রেগন্যান্সির পজেটিভ রেজাল্ট নয়! বা প্রেগন্যান্সির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্মণও নয়। সুতরাং সরাসরি টেস্টের সাহায্য নিন।
- অনেক সময় প্রেগন্যান্সির টেস্ট কিট কিংবা মায়ের হরমোনাল সমস্যার কারণেও নেগেটিভ রেজাল্ট আসতে পারে।
- যাদের ক্ষেত্রে দেরিতে পিরিয়ড হওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের বেশিরভাগ প্রেগন্যান্সির টেস্ট রেজাল্টই ভুল আসে। সুতরাং সাবধান!
- আগেই বলেছি হাজবেন্ড-ওয়াইফের লিভ টুগেদারের একটি নির্দিষ্ট সময় পর (২১ দিন) প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা উচিত। এই ২১ দিনের আগে যদি কোনো নারী টেস্ট করিয়ে থাকেন তবে তাতে অবশ্যই নেগেটিভ রেজাল্ট শো করবে।
- যারা সকালে বাথরুম ব্যবহার করে না কিংবা সোজা কথায় প্রস্রাব করে না এবং প্রচুর পরিমাণ তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করে তাদের ক্ষেত্রেও প্রেগন্যান্সির রেজাল্ট নেগেটিভ আসতে পারে।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট কোনটা ভালো?
প্রেগন্যান্সি টেস্টের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কিটের সাহায্য নেওয়া হয়। পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো কিট ব্যবহার করে টেস্ট করা যায়। তবে সময় অনুযায়ী বর্তমানে সেরা কিট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ক্লিয়ারব্লু ডিজিটাল কিট। এই কিট তুলনামূলকভাবে খুবই কম মূল্যের একটি কিট। তাছাড়া দ্রুত টেস্ট রেজাল্ট পেতে এই কিট ব্যবহার করা যেতে পারে। বলে রাখা ভালো কিটটি দেখতে কিছুটা কাটির মতো মনে হতে পারে।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের নাম
প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার বিভিন্ন কিট আজকাল বাংলাদেশেই পাওয়া যায়। চলুন তবে এবারে কিছু জনপ্রিয় এবং পারফেক্ট কিট সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. ক্লিয়ারব্লু র্যাপিড ডিটেকশন প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট
ক্লিয়ারব্লু র্যাপিড ডিটেকশন প্রেগন্যান্সি কিটের সবচেয়ে ভালো দিক হলো এটি মাত্র ১ মিনিটেই রেজাল্ট দিতে সক্ষম। পুরো কার্যক্রমটি শেষ করতে মোটামুটি ৫ মিনিটের মতো লাগতে পারে।
তবে রেজাল্ট দ্রুত পেয়ে গেলেও চিকিৎসকেরা এই কিটের সাহায্যে পরে সপ্তাহে আবারো টেস্ট করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ সহজে ব্যবহার করতে পারা এই কিটের বাজে দিক হলো পিরিয়ড মিস হওয়া নারীদের জন্যে এটি অতোটা পারফেক্ট নয়!
২. ক্লিনিক্যালগার্ড প্রেগন্যান্সি ইউরিন টেস্ট স্ট্রিপ
এই কিটের সাহায্যে রেজাল্ট পেতে হলে আপনাকে কমপক্ষে ৫ মিনিটের মতো অপেক্ষা করতে হবে৷ রঙিন লাইনের সাহায্যে এটির রেজাল্ট শো হয়। এটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বাড়তি কোনো সুবিধা না পেলেও দামের দিক দিয়ে কিন্তু বেশ সহজলভ্য!
বলে রাখা ভালো, প্রেগন্যান্সি টেস্ট স্ট্রিপগুলি অন্যান্য টেস্ট স্টিকগুলির চেয়ে ছোট এবং ক্ষীণ হয়ে থাকে। যা মাত্র ১ কাপ ইউরিনের মাঝে ডুবানোর উদ্দেশ্য নিয়েই ডিজাইন করা হয়।
৩. প্রেগমেইট প্রেগন্যান্সি টেস্ট স্ট্রিপ
এই কিট ব্যবহারের দিক দিয়ে কিছুটা কঠিন৷ তবে একেবারেই খারাপ বলা যাবে না। যাদের মিসিং পিরিয়ডের সমস্যা রয়েছে তারা এটি পরবর্তী পিরিয়ডের ৫ দিন আগে পর্যন্ত যেকোনো সময়ে ব্যবহার করতে পারেন।
তবে পরবর্তী মাসের পিরিয়ড না হওয়া পর্যন্ত এই কিটের সাহায্যে টেস্ট করার ক্ষেত্রে অপেক্ষা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যদিও এই কিটের বাজে দিক হিসেবে অনেকেই অস্পষ্ট রেজাল্টকে দায়ী করেছেন।
৪. ইজি হোম ওভুলেশন প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট
যারা ইজি হোম ওভুলেশন প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট এর সাহায্যে টেস্ট করাতে চান তারা কিন্তু ৩ থেকে ৫ মিনিটের মধ্যেই রেজাল্ট পেয়ে যেতে পারেন। এই টেস্ট কিট প্যাকেটের সবচেয়ে ভালো এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এতে টেস্ট করার কিট থাকার পাশাপাশি বাচ্চার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করারও সুযোগ থাকে।
যারা বাজেট বান্ধব প্রেগন্যান্সি টেস্টের কাজটি সারতে চান তারা এই ইজি হোম ওভুলেশন প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটটি ব্যবহার করতে পারেন৷ এছাড়াও এই কোম্পানিটির একটি নিজস্ব অ্যাপ রয়েছে। যা আপনাকে পুরো প্রেগন্যান্সির সময়টাতে বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাপারে ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে।
ঘরে বসে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার উপায়
আপনার মধ্যে যদি প্রেগনেন্সির লক্ষণ দেখা যাই তবে আপনাকে অবশ্যই জেনে রাখতে যে কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করালে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় এবং প্রেগনেন্সির দ্বিতীয় মাসে রক্তপাত দেখা দিলে কি করনীয়। যারা ঘরে বসেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তারা নিচের পয়েন্টগুলিতে ফোকাস করতে পারেন!
- সকালের প্রথম ইউরিনটুকু নেওয়ার চেষ্টা করুন
- একটি পরিষ্কার এবং শুকনো বোতল কিংবা পাত্রে রাখুন
- স্ট্রিপটি ধরার সময় স্ট্রিপের মাঝের অংশে টাচ করা থেকে বিরত থাকুন
- স্ট্রিপের উপরে ইউরিন রাখার জন্য টেস্ট কিটের সাথে দেওয়া ড্রপার ব্যবহার করুন
- রেজাল্ট পেতে কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন
- ৩০ মিনিট পর রেজাল্ট কাউন্ট করা থেকে বিরত থাকুন
মনে রাখবেন,
যদি স্ট্রিপে শুধুমাত্র একটি রঙিন রেখা দেখা যায়, তাহলে টেস্টের রেজাল্টকে নেতিবাচক রেজাল্ট হিসেবে ধরে নিতে হবে। অর্থ্যাৎ আপনি গর্ভবতী নন।
আর যদি স্ট্রিপে দুটি রঙিন রেখা শো করে, সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে রেজাল্ট পেজেটিভ এবং আপনি প্রেগন্যান্ট। এছাড়া রেখাগুলো হালকা রঙের হলেও আপনি ধরে নিতে পারেন, আপনি প্রেগন্যান্সির বিশেষ সময়ে রয়েছেন।
প্রেগন্যান্সির সময় করনীয়গুলি কি কি?
এবার আর্টিকেলের বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ অর্থ্যাৎ প্রেগন্যান্সির সময় করনীয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
- খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন
- দুপুরের ভাতঘুম দেওয়ার চেষ্টা করুন
- সারাদিন শুয়ে-বসে না থেকে নড়াচড়া করুন
- মেজাজ কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা করুন
- ভারী কিছু তোলা থেকে বিরত থাকুন
- নিয়ম মেনে ঔষধ সেবন করুন
- এলকোহল কিংবা অস্বাস্থ্যকর ড্রিংকস এড়িয়ে চলুন
- ধুমপানরত ব্যাক্তির সঙ্গ ছাড়ুন
- অযথা ভয় পাবেন না
- ডেলিভারির জন্যে সবকিছু ঠিকঠাক করে রাখুন
- বাড়িতে হেল্পিং হ্যান্ড রাখার চেষ্টা করুন
- যতটা সম্ভব হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন
- ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে চলুন
ইতি কথা
টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট, প্রেগন্যান্সির টেস্ট, টেস্ট কিট, টেস্ট করার উপায়, “কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করালে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়” এসব তথ্য সম্পর্কে তো জানলেন! এবার নিজের এবং আশেপাশের সম্পৃক্ত পরিস্থিতিতে এসব টিপস মেনে চলার পালা! আমরা সকলেই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্ক থাকি, তবে আমাদের আর কখনোই প্রেগন্যান্সির জটিলতা কিংবা এর ভয়াবহ ভার্সনটুকুর মুখোমুখি হওয়ার দরকার পড়বে না।
1 comment
Hello, after reading this amazing paragraph i am also happy to share my experience here with friends.