আজকে আমরা এই পোষ্টে অনলাইনে নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানবো। একটি বিদ্যুৎ মিটার যা আপনাকে অনেক সেবা দিতে পারে। এই বিদ্যুৎ আপনার একটি কোম্পানি কে দাঁড় করিয়ে রাখে। এখন যে কোনো কাজের জন্য আপনার লাগবে বিদ্যুৎ। যা আপনার ব্যবসাকে আরো উপরে তুলতে সাহায্য করবে। এখন কার সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম খুব সহজ। আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে যে কোনো সময় মিটার নামিয়ে আন্তে পারবেন।
আপনি কি অনলাইনে নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম জানতে চান ? আজ বিদ্যুৎ মানুষের নিত্যদিনের সংগী হয়ে গেছে। এখনো কেউ কেউ জানে না কিভাবে কিভাবে পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য আবেদন করতে হয় বা কেউ কেউ নতুন আছেন বিদ্যুৎ নামেতে চাচ্ছেন। বাংলাদেশের সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। তাই অনলাইনে বিদ্যুতের জন্য আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে। আপনার বাড়িতে যদি বিদ্যুৎ না থাকে বা অন্য কোনো প্রয়োজনে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি খুব সহজে ঘরে বসে পল্লী বিদ্যুতের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যখন আবেদন করবেন তার ৩০ দিন এর মোদ্দে আপনি নতুন মিটার পেয়ে যাবেন।
আপনি যদি যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি সংগ্রহ করে আবেদন করতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজে তৃতীয় কোনো পক্ষ ছাড়াই আপনি লাইন পেয়ে যাবেন। অনেকেই আছেন অনেক কিছু করে সফল হয় না। আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করার জন্য প্রত্যাশিত হয়ে থেকেন। তাহলে আমাদের আজকের এই পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম ফল করেন তাহলে আশা করা যায় আপনি সফল হতে পারবেন।আপনি যদি সঠিকভাবে পল্লী বিদ্যুৎ এ আবেদন করতে চান তাহলে আমাদের নিচের কথাগুলো মেনে আবেদন করলে আশা করা যায় আপনার কোনো দালাল ধরতে হবে না। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো —–
আজকে আমরা এক নজরে দেখবো আবেদন করার নিয়ম।
- আজকের ব্লগ পড়ে জানতে পারবেন কিভাবে পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য আবেদনের সাধারণ নিয়ম।
- আরো জানতে পারবেন আবেদন করার জন্য যা যা প্রয়োজন।
- আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন নতুন মিটারের আবেদনের নিয়ম।
সুচিপত্র
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম
- আবেদনকারীর নাম ও আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বার।
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার লাগবে।
- আবেদনকারীর স্থানীয় ঠিকানা। সে কই থাকে।
- সংযোগ স্থলের ঠিকানা। প্রমাণ সহকারে লাগবে।
- সবচেয়ে নিকট তম বিদ্যুৎ খুঁটির ঠিকানা।
- উত্তরাধিকার সনদ আছে কি না। তা জানতে চাইবে।
- বাড়ির লোড সম্পর্কে জানতে চাইবে। সেক্ষেত্রে বাসা বাড়ির রুমের সংখা ,কয়টা ফ্যান ,কয়টা ফ্রিজ আছে। এসি আছে কি না, পানির মোটর ইত্যাদির সংখ্যা আগে নির্ণয় করুন। তার পরে তাদের ওয়ার্ড এর সংখ্যা নির্ণয় করুন। নিজে না পারলে ইলেক্ট্র ইঞ্জিনিয়ারের সাহায্য নিন।
- বাসায় হাউজওয়াররিং এর জন্য নির্চিত হন।
পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটার আবেদনের সাধারণ শর্তাবলী:
আপনি যখন আবেদন করবেন তখন যার নামে আবেদন করতে চাচ্ছেন তার ছবি তার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং যে স্থনে বিদ্যুতের জন্য আবেদন করবেন সেখান কার খারিচ। যেহেতু আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন তাই কপি লাগবে। আপনি যেখানে মিটার নামাবেন সেখান থেকে দূরত্ব হতে হবে ১৩০ ফুট। এই শর্তটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মানতে হবে। কারণ হলো দুরুত্ব বেশি হলে ও ভুল তথ্য দিলে যথা সময়ে লাইন পাবেন না। এবং প্রয়োজনীয় লোড হিসাব করা কারণ ৮০ কিলোওয়াড এর বেশি হলে HT সংযোগের জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। এবং আপনাকে HT সংযোগের নিয়ম কারণ এর প্রয়োজন হবে।
অনলাইনে নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম এটিই ফলো করা হয়ে থাকে। আবেদনের পর আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। আপনার আবেদন কনফার্ম হয়েছে কি না।
আবেদন করার সময় যেসকল বিষিয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম বিস্তারিত আমরা জানাবো।
- আপনাকে মিটারের আবেদনের জন্য একটি ওয়েব সাইড এ চলে যেতে হবে।
- তারপর ওয়েব সাইড এ গেলে আপনার সমানে একটি ফরম খুলে যাবে। তারপর ফরম পূরণ করতে বলবে।আপনার কাছে যা যা ইনফরমেশন চায় তা দিয়ে ফরম টি পূরণ করুন।
- তারপর আপনাকে আপনার জোনাল নির্বাচন করতে হবে। আপনি যে জোনাল অফিসের আওতায় আসেন সেই জোনাল অফিস সিলেক্ট করতে হবে।
- তারপর আপনি কোন ধরনের মিটারের জন্য আবেদন করতে চান সে ধরনের মিটার সিলেক্ট করে দিতে হবে। যদি আপনি আপনার বাড়ির জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আবাসিক সিলেক্ট করে দেন। এটি নির্বাচন করলে আপনার বসত বাড়ি জন্য মিটার নির্বাচিত হবে।
- এই পর্জায়ে আবেদন কারীর যাবতীয় বিবরণ সঠিক ভাবে দিতে হবে। যেমন –আবেদনকারীর নাম,আবেদনকারীর ঠিকানা।,আবেদনকারীর পিতার নাম /স্বামীর নাম ,জন্ম তারিখ জাতীয় পরিচয় প্রত্র ,জাতীয়তা ,মোবাইল নাম্বার ,ইমেইল ,সঠিকভাবে দিতে হবে।
- এইপর্যায়ে আবেদনকারীর সঠিক ঠিকানা দিতে হবে.ধাপে ধাপে গ্রাম ,থানা ,জেলা ,উপজেলা ,বাসার নাম্বার ,রোড নাম্বার ইত্যাদি এই তথ্য গুলিকে সঠিক ভাবে দিয়ে দিতে হবে। যেখানে নির্বাচন করতে বলবে সেখানে নির্বাচন করবেন অন্যথায় সিলেক্ট করবে না।
- পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম অনুযায়ী, এখন বাক্স এ টিক মার্ক দিতে হবে।
- বাক্স এ টিক মার্ক করে দেয়ার পরে আরেকটি পেজ খুলে যাবে। তারপর দেখবেন সেই পেজে আগের ঠিকানা অনুযায়ী এই পেজ টা পূরণ হয়ে যাবে।
- এই পর্যায়ে বাকি ইনফরমেশন বাদে আরো ইনফরমেশন যোগ করতে হবে। তারপর মোজা সিলেক্ট করতে হবে,আপনার খতিয়ানা দেওয়া থাকবে সেখান থেকে দিয়ে দিবেন। তারপর দাগ নাম্বার দিতে হবে ,খতিয়ান নাম্বার দিতে হবে। যেখানে ইংরেজি থাকবে সেখানে ইংরেজি দিতে হবে।
- এইপর্যায়ে জমির মালিকানা সিলেক্ট করতে হবে। সেখানে বেশ কয়েক টি অপসন পেয়ে যাবেন।সেখান থেকে আপনি আপনার মালিকানা সিলেক্ট করে দিবেন।
- অনলাইনে নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম এই পর্যায়ে প্রায় শেষের দিকে। জমির আইনগত মালিক এর নামটা দিয়ে দিতে হইবে।
- এবার নিকটবর্তী সার্ভিস পোল কত দূরে সেটা দিয়ে দেন। যেখানে আপনি আবেদন করেছেন সেখান থেকে আপনার ঘর কত দূরে তা সিলেক্ট করতে হবে।
- এখন গ্রাহকের বই নং দিতে হবে। যেটি আপনার আশেপাশে কারো বিদ্যুৎ বিল চেক করলে পাবেন। যদি একই ট্রান্সফর্মারতে হয় তাহাকে একে একে ওই বই নং তা সহ দিয়েদেন। যেটি আপনার এই বিদ্যুৎ বিলে পেয়ে যাবেন। এরপর নিচে দুটি অপশন পাবেন সে দুটি সিলেক্ট করার দরকার নেই।
- এখন আবেদনের প্রক্রিয়া টি যদি স্থায়ী হয়, তাহলে স্থায়ী সিলেক্ট করে দিরে হবে। আপনার স্থায়ী ঠিকানা চাবে। সেটা দিতে হবে।
- এইপর্যায়ে লোডের নাম কোন কোন অপারেশন বেবহার করবেন সেটি সিলেক্ট করতে হইবে। আপনি কোন কোন আইটেম ব্যবহার করবেন সেটির নাম এবং কতটি ব্যবহার করবেন সেটি দিয়ে দিতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ–যদি সেই লাইন হয় তাহলে সেই লাইন সিলেক্ট করুন। এরপর আইটেমের সংখ্যা কত তা সিলেক্ট করে দিয়ে দিন। মাথায় রাখতে হবে সব মিলিয়ে এক কলওয়ার্ড মিলাতে হবে। এভাবেই পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম আবেদন করতে হয়।
- এখন উপরে বলা ৩ টি ছবি রেজুলেশন দেখে আপলোড করে দিন। রেজুলেশন কম হলে আপলোড হবে না। এবং পিকচার ভালোভাবে বুঝা যাবে না।
- একটি ক্যাপচা দেয়া হবে যেটি সিলেক্ট করতে হবে। উপরের বক্সে যেটি থাকবে সেটি সিলেক্ট করে দিন তাই হয়ে যাবে। ক্যাপচা ভুল হওয়া যাবে না। ভুল হলে আবার ক্যাপচা আসবে। এইভাবে আসতেই থাকবে।
- আবেদন শেষ হলে অবশ্যই চেক দিয়ে নিতে হবে। সবকিছু ঠিক আছে কি না। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে আপনার কাছে একটি নিশ্চিতকরণ এস এম এস আসবে। সেটা আপনি অবশ্যই সংরক্ষণ করে রাখুন।এবং আপনি যে তথ্য গুলো দিয়েছেন সেগুলো একটি ফাইল আকারে দেখাবে। সেটা ডাউনলোড করার জন্য নিচে যেতে হবে। নিচে গেলে ডাউনলোড অপশন পেয়ে যাবেন। সেটা অবশ্যই ডাউনলোড করে রাখবেন। সেটা ডাউনলোড না করে রাখলে পরবর্তী সময়ে প্রব্লেম হতে পারে। তাই আপনাকে সতর্ক হতে হবে সেই বিষয়ে।
মিটার দুই ধরণের হয়ে থাকে একটা হলো আবাসিক অন্যটা হলো মোটরের জন্য। আপনারা যদি আবাসিক লাইনের জন্য আবেদন করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন হতে পারে আপনাদের কাছে। কিন্তু দুটোই একই।
আবাসিক এর জন্য লাইন
বর্তমানে পল্লী বিদ্যুৎ সুমিতি আবাসিক লাইন দিয়ে থাকে। কোনো রকম জামেলা ও তৃতীয় পক্ষ ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোজন খুব সহজেই নেয়া যায়। অনলাইনে নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম মেনে আবেদন করলে লাইন দিয়ে দেয়। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বলছে কোনো তৃতীয় পক্ষ ছাড়াই আমরা আপনাদের লাইনের বেবস্থা করে দিবো। যাই হোক মূল কোথায় ফিরে যাই। সরকারের কথা বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবেন। তারা সেই অনুযায়ী কাজ করে আসতাছে।
আবেদন করার সময় অনলাইন পেমেন্ট নির্চিত করণ প্রক্রিয়া
উপরের শর্তগুলো মেনে আপনাকে অবশ্যই আপনাকে মিটারের জন্য আবেদন করে তারপর পেমেন্ট করতে হবে রকেটে মাধ্যমে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা পেমেন্ট প্রক্রিয়া নিচে দিয়ে দিলাম।
আবেদন করার পরে আপনাকে আবেদন ফি জমা দিবেন রকেটের মাধ্যমে। প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল ফোনে রকেট app এ যাবেন তারপরে পেমেন্ট অপশন আসে। যদি আপনি না পারেন তাহলে আপনার আশেপাশে অনেক আবেদন করার শপ আছে। আপনি সেখানে গিয়ে বললে হবে আমার মিটারের জন্য আবেদনের পেমেন্ট টা করেদেন তারা তখনি দিয়ে দিবে। তার জন্য আপনাকে কোনো টাকা পেমেন্ট করতে হবে না।
আশা করি এখন ডিজিটাল সময়ে পেমেন্ট করাটা জানা নেই এমন কেউ আছেন। পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম জানা নেই এমন কেউ আছেন।
এই বছরে যারা বিদ্যুৎ চেয়ে আবেদন করেছিলো তাদের আবেদন ফিরিয়ে দেয়া হয় নাই। তাদের সবাইকে সংযোজন দেওয়া হয়েছে। (পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম)সেচ বিদ্যুৎ সংগ্রহ গত বছরের চেয়ে ২ ঘন্টা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনে এই খবর পাওয়া গেছে। এই বছরে শুরুতে নতুন আবেদন পড়েছে প্রায় ৩৫ হাজারের মতো। এই বছরের প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ কে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে । আপনি যদি আবেদন করেন তাহলে আপনার আবেদন নেওয়া হবে। আর কিসের দেরি আপনিও আবেদন করে ফেলুন। পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম টি ফলো করে।
ঘরে ঘরে লাইন দিবে বলে বিদ্যুতের মেগাওয়ার্ড বাড়িয়েছে করতি পক্ষ। তাই পাঁচ হাজার ৮৫০ মাগাওয়ার্ড থেকে বাড়িয়ে করেছে সাত হাজার ৫০০ মেগাওয়ার্ড পর্যন্ত। আমাদের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ছাড়াও আরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করা থাকে। তাই আমাদের সবার চাহিদা মেটানোর পর আরো বিদ্যুৎ থেকেই যাবে।
ইতি কথা:
পরিশে একটা কথা বলতে চাই তাহলো আবেদনের সময় আমরা উপরের যে নির্দেশনা দিয়েছি সেগুলো অবশ্যই মানে আবেদন করতে হবে। নাহলে আপনাদের আবেদন কেন্সেল হয়ে যাবে।অনলাইনে নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম, আপনি যদি আমাদের দেয়া নিয়ম গুলো মেনে আবেদন করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি মিটার পেয়ে যাবেন।
আমাদের এই ওয়েব সাইড এ ব্লগ পোস্ট করে থাকি। বিভিন্ন ধরণের আপডেট ইনফরমেশন দিয়ে থাকি আপনারা সেগুলো পরে উপকৃত হতে পারেন।নিয়মিত আপডেট পেতে হলে আমাদের ওয়েব পেজ নিয়মিত ভিজিট করুন।