আপনি যদি গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়, গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ, গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় এবং গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা কোথায় কোথায় হয় ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি একেবারেই সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এখন গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায় এবং গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা কোথায় কোথায় হয় সহ গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
গ্যাস্ট্রিক! এ-যেন একটি কমন রোগের নাম। কেবল ভূক্তভোগীরাই জানে এই রোগ কতটা ভোগাতে পারে। এক্ষেত্রে দরকার প্রয়োজনীয় টিপস সম্পর্কে জেনে রাখা, সচেতনতা অবলম্বন করা, দরকারি ঔষধ সেবন করা, খাবার-দাবারে সতর্ক হওয়া, নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপনে অভ্যস্থ হওয়া। সকল প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে আজ আমরা চলে এলাম একটি গাইডলাইন টাইপের আর্টিকেল নিয়ে। যেখানে থাকবে গ্যাস্ট্রিক কি, গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় কি-সহ এই সম্পর্কিত টিপস।
সুচিপত্র
গ্যাস্ট্রিক কি?
গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত গ্যাস্ট্রিক কি। এটি মূলত সংক্রামক ডায়রিয়া পরিচিত একটি কমন রোগ। এই রোগের কমন উপসর্গ হলো অতিরিক্ত পরিমানে বুকও পেটব্যথা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া uছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এই রোগ খুববেশী পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়। যদিও স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী ছাড়াও খাবার দাবারে অনিয়ম করা চাকুরিজীবি, গৃহীনি এবং বয়স্কদের মাঝেও এরুপ দেখা যায়।
গ্যাস্ট্রিক কেন হয়?
গ্যাস্ট্রিক কি সেই সম্পর্কে তো জানলেন! এইবার জেনে নেওয়া উচিত গ্যাস্ট্রিকের কারণসমূহ সম্পর্কে। যা আপনাকে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সমূহ ফলো করতে সাহায্য করবে। চলুন তবে মূল পয়েন্টে ফোকাস করা যাক।
১) খাবারে অনিয়ম
গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে যারা জানতে চান তাদের বেশিরভাগই গ্যাস্ট্রিক রোগ দেখা দেয় শুধু মাত্র খাবারে অনিয়ম করার কারণে। অনেকই দেখা যায় সকালের খাবার দুপুরে, দুপুরের খাবার বিকেলে খাওয়ার প্রতি আগ্রহী থাকে। অর্থ্যাৎ যারা সময়ের খাবার সময়ের খায় না, প্রতিবার খাবারের মাঝে দীর্ঘ গ্যাপ দেয় তাদের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক রোগ দেখা দিতে পারে।
২) ধুমপান করা
অনেকক্ষেত্রে দেখবেন,যারা ধুমপান করে তাদের মাঝে বুক জ্বালাপোড়া করার সমস্যা দেখা দেয় এক্ষেত্রে অনেকই মনে করেন ধুমপানই বুক জ্বালাপোড়া করার অন্যতম কারণ। যদিও এধারণা সঠিক। তবে ধুমপান -জাতীয় উপকরণ সরাসরি বুক জ্বালাপোড়া করার কারণ হতে পারেনা এক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক ম্যাধ্যম হিসাবে কাজ করে।
৩) অতিরিক্ত খাবার
ক্ষুধা মিটে যাওয়ার পরও বাড়তি খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা গ্যাস্ট্রিক রোগ তৈরি হওয়ার কারণ হতে পারে। সুতরাং পেট ভরলেই খাবারের পর্ব শেষ করতে হবে। ইসলামী শরীয়া মোতাবেক অল্প পরিমাণে খেয়েই তুষ্ট থাকতে হবে।
৪) পরিমিত ঘুম
আপনার অনিয়মিত ঘুমও গ্যাস্ট্রিক রোগের কারণ হতে পারে।মনে রাখবেন এখানে অনিয়মিত ঘুম বলতে প্রয়োজনের বেশি ঘুমানো কিংবা প্রয়োজনের কম ঘুমানোকে বুঝানো হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তির উচিত দিনে কমপক্ষে ৭থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো।
উপরে আলোচিত কারণগুলি হলো গ্যাস্ট্রিক রোগ সৃষ্টির কমন কিছু হাতিয়ার। এছাড়াও অন্যান্য মৃদু কারণও থাকতে পারে এক্ষেত্রে আদৌ গ্যাস্ট্রিক রোগ হয়েছে কিনা তা জানতে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয়?
গ্যাস্ট্রিক রোগের ক্ষেত্রে একজন রোগীকে বিভিন্ন সময়ে বাড়তি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কি সেই সমস্যা? জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলে এই অংশটিতে ফোকাস করুন।
১) পেপটিক আলসার
গ্যাস্ট্রিক রোগের অন্যতম সমস্যা হলো পেপটিক আলসার যাকে সাধারণত পাকস্থলীর আলসার বলা হয়। এই সমস্যা হলে রোগীর উপরের পেটে ব্যাথা অনুভূত হয়। পাশাপাশি দেখা যায় ওজন কমে যাওয়া, ক্ষুধা কমে যাওয়া, বমিবমি ভাব হওয়া, মলত্যাগের সময় রক্তবের হওয়ার মতো সমস্যাগুলি। তবে খুশির ব্যাপার হলো সঠিকভাবে চিকিৎসা করা গেলে পেপটিক আলসার সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায়। তবে সময়ে সময়ে সঠিক চিকিৎসা করা নাগেলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
২) কাশি
গ্যাস্ট্রিক রোগ হলে অতিরিক্ত পরিমানে কাশি দেখা দিতে পারে। এর মূল কারণ হলো অন্ননালীর স্ফিংটার সমস্যা। এই নালীতে খাবার ঠিকভাবে থাকতে না পারার কারণে একধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। যা রোগীকে অতিরিক্ত পরিমাণে কাশতে বাধ্য করে।
পেটের সমস্যা, পেটে ব্যাথা করা গ্যাস্ট্রিক রোগের একটি কমন সমস্যা। গ্যাস্ট্রিক রোগের কারণে সংঘঠিত এই পেটের সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) বলা হয়। বলা হয়ে থাকে এই সিনড্রোমের সাথে ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের সম্পর্ক রয়েছে।
৩) ক্লান্তি অনুভূত হওয়া
যাদের গ্যাস্ট্রিক রোগ হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সবসময় বা বিশেষ করে খাবার গ্রহনের পরে ক্লান্তিজনিত সমস্যা দেখা দেয়। কেবল শারীরিক ক্লান্তিই নয়, বরং মানসিক ক্লান্তিও দেখা দেয়। অতিরিক্ত উদ্বিগ্নতা কাজ করে।
উপরে যেসব সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করলাম, সেসব সমস্যা ছাড়াও আরো বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন অনেক দিন ধরে ডায়রিয়ায় ভোগা, থাইরয়েডের রোগ দেখা দেওয়া, ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভোগা ইত্যাদি।
গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ গুলো কি কি?
গ্যাস্ট্রিকদুর করার উপায় সম্পর্কিত আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করবো গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ সম্পর্কে। যেখানে থাকবে গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণর কিছু কমন পয়েন্ট। চলুন তবে শুরু করা যাক।
অনেকের খালি পেটে বেশিক্ষন থাকলে বমির সমস্যা দেখা যায়। এর পেছনে কারণও রয়েছে মূলত হজমে সমস্যা হওয়ার কারণে পেটে ইনফেকশন হয় যা পরবর্তীতে বমিতে রূপ নেয় সুতরাং কারণ ছাড়া ঘন ঘন বমি ভাব হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অকারণে মাঝেমধ্যেই পেটেব্যাথা হলে মোটেও অবহেলা করা যাবেনা। কারণ গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম লক্ষণ হলো অকারণে প্রায়ই পেটে ব্যাথা করা। যদিও পিরিয়ড, ডায়রিয়াসহ বিভিন্নকারণে পেটে ব্যাথা হতে পারে।
অস্বাভাবিকভাবে পেটের মেদ বেড়েগেলে গ্যাস্ট্রিকের পরিক্ষা করাতে হবে। কারণ গ্যাস্ট্রিক রোগের কারণে পেটের মেদ বেড়ে যেতে পারে। তবে অস্বাস্থ্যকর খাবর গ্রহন করলেও পেটের মেদ বাড়তে পারে।
ঘন ঘন ডায়রিয়ার হলে বুঝতে হবে আপনার গ্যাস্ট্রিক হয়েছে। এক্ষেত্রে ডায়রিয়ার কারণ হিসাবে পানুর সমস্যা কিংবা খাবারের সমস্যা লক্ষ্য করলে গ্যাস্ট্রিক রোগের উপস্থিতির আশংকা করা যাবেনা। এই ছাড়াও:
- ক্ষুধা কমে যাওয়া
- বারবার হেঁচকি উঠা
- বাদহজম হওয়া
গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা কোথায় কোথায় হয়?
গ্যাস্ট্রিক রোগ সম্পর্কেতো বিস্তারিত জানলেন! এক্ষেত্রে আদৌ কোনো রোগীর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিয়েছে কিনা তা জানান আগে জেনে নেওয়া দরকার শরীরেরগাঁট গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি সম্পর্কে। যে অংশগুলি প্রমাণ করে দিবে রোগীর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
পেট! গ্যাস্ট্রিকের কারণে বেচারা পেটকে বেশ ভুগতে হয়। সহ্য করতে হয় ভয়ংকর ব্যাখ্যা। গ্যাস্ট্রিকের কারণে রোগীকে বুকে ব্যাথার মুখোমুখি হতে হয়। সুতরাং লজিক অনুযায়ী শরীরের অংশ হিসাবে বুককেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগতে হয়।
গ্যাস্ট্রিক রোগের কাছে অনেকসময় মানসিক স্বাস্থ্যও বুলিংয়ের স্বীকার হয়। বিশেষ করে খিটখিটে মেজাজের সমস্যা অগ্রাহ্য করবার মতো নয়।
গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়?
গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জানবো গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে।
প্রোবায়োটিক গ্রহণ করুন
প্রোবায়োটিক গ্যাস কমাতে এবং অতিরিক্ত গ্যাস থেকে পেটের অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করতে পারে। যদিও সব প্রোবায়োটিক সমানভাবে কাজ করে না। এটি গ্রহনের ৪ সপ্তাহ পরে রোগীর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে আসে। সুতরাং গ্যাস্ট্রিকের অতিরিক্ত সমস্যা কমাতে প্রোবায়োটিক ব্যবহার করতে পারেন।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম কি কি?
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম হিসেবে বেশকিছু স্টেপ ফলো করতে পারেন। যেমন দৌড়াদৌড়ি করা কিংবা হাঁটাহাঁটি করাসহ অন্যান্য ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম। নিয়মিতভাবে ৩০/৪০ মিনিট ব্যায়াম করতে পারলে আশা করা যায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে। ঘন ঘন ঔষধ সেবনের চেয়ে এভাবে সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করতে পারলে নিরাপদে গ্যাস্ট্রিক দূর করা সম্ভব হবে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়?
আমাদের সকলেরই ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। উপায়গুলি সম্পর্কে জানতে নিচের পয়েন্টগুলিতে ফোকাস করুন:
১) গরম লেবু পানি পান করুন
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মারাত্মকভাবে কাজ করে তাদের উচিত এক গ্লাস গরম পানিতে ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নেওয়া। এক্ষেত্রে এ লেবুর পানি খালি পেটে পান করতে হবে। এতে করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা খুব দ্রুত সময়ে কমে আসবে।
২) অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আজকাল বাংলাদেশের বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায়। অ্যাপেল সিডার ভিনেগারকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার কাজে ব্যবহার করতে চাইলে এক গ্লাস পানি গরম করে নিতে হবে। কুসুম গরম পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার গুলিয়ে পান করে নিতে হবে।
৩) সেদ্ধ কুমড়া
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে ঘরোয়া টিপস হিসেবে ভাব দেওয়া কুমড়া খাওয়া যেতে পারে।এক বাটি কুমড়া কিউব করে কেটে নিয়ে তা১০/১৫ মিনিট ভাবে রাখলেই চলবে।
গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কিত বাড়তি টিপস
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কিত বাড়তি টিপস জানব।
ধীরে ধীরে খাবার গ্রহনের অভ্যাস গ্রহন করুন। অনেকেই পরিস্থিতির কারণে কিংবা স্বভাবগত কারণে খাবার-পর্বটিকে দ্রুত চুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে তোলাসহ গ্যাস্ট্রিক রোগ সৃষ্টিতে কাজ করে থাকে। সুতরাং সময় নিয়ে খেতে বসুন।
যাদের ভাজা পোড়া খাবারের প্রতি আলাদা ভালবাসা কাজ করে তারা এখন থেকে সতর্কতা অবলম্বন করুন। দোকানে কিংবা বাড়িতে তৈরি করা অতিরিক্ত তেলের এসব খাবার মানবদেহে বাড়িতি গ্যাস তৈরি করে। যা গ্যাস্ট্রিক রোগের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। এমতাবস্থায় শুরুতে একটু একটু করে ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে পারেন। এর পরিবর্তে সেদ্ধ খাবার গ্রহনের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
খেতে বসে অতিরিক্ত লোভ করা যাবেনা। যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকু খেয়ে উঠে পড়ুন। কেননা গ্রহন করা অতিরিক্ত খাবার আমাদের দেহের হজমশক্তির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং পেটের কিছু অংশ খালি থাকতেই খাবার টেবিল থেকে উঠে পড়ুন। এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাসহ অন্যান্য রোগ থেকেও আপনাকে নিরাপদ থাকতে সাহায্য করবে।
অ্যালকোহল জাতীয় খাবার বা পনীয়ের প্রতি অতিরিক্ত নেশা থেকে বিরত থাকুন। গবেষণা বলছে গ্যাস্ট্রিকের ক্ষেত্রে দেহে বাড়তি গ্যাস তৈরির করার কাজে এই অ্যালকোহল জাতীয় খাবার সহায়ক ভুমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে আজ থেকেই নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অ্যালকোহলকে বিদায় জানানোর ব্যবস্থা করুন।
অনেক বেশি চর্বিযুক্ত খবার পছন্দ করলে তার থেকে বিরত থাকুন। কারণ অতিরিক্ত পরিমানে চর্বি আছে এমন খাবার আমাদের দেহের হজম প্রক্রিয়াকে তুলনামূলক ধীর করে ফেলে। যে খাবার ২ ঘন্টায় হজম হওয়ার কথা সে খাবার হজম হতে লাগছে ৪/৫ ঘন্টার মতো।
আমরা সকেলই জানি অতিরিক্ত আঁশযুক্ত খাবার দেহের ক্ষেত্রে বেশ উপকারী ভূমিকা পালন করে। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আঁশযুক্ত বা ফাইবারযুক্ত খাবার নেতী বাচক প্রভাব ফেলে। সুতরাং ফুলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
যারা আজকাল অনেক বেশি ফাস্টফুডে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন তারা এই অভ্যাস থেকে আজই বেরিয়ে আসুন। মনে রাখবেন, ফাস্টফুড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে তুলে। এমনকি জেনে অবাক হবেন গ্যাস্ট্রিক রোগ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রেও এটি কাজ করে থাকে।
ইতি কথা
আজকের আলোচনা ছিল ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়, গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়, গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ কি, গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়, গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়, গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা কোথায় কোথায় হয় এবং চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে।
আশা করি গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন। কেবল জানলেই চলবেনা। চেষ্টা করতে হবে সম্পর্কিত সকল নিয়ম-কানুন এবং টিপস মেনে চলার। যা আপনাকে গ্যাস্ট্রিকের মতো রোগ থেকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে। আজকের মতো এতটুকুই। পরবর্তী আর্টিক্যাল উপভোগ করতে আমন্ত্রণ রইলো। ভালো থাকবেন।