ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি এবং ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়

আপনি কি জানেন, ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি?। বর্তমান সময়ে করা একটি গবেষণা বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে এক কোটি ত্রিশ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে? যেহেতু ক্যান্সার হলে বাঁচা মরার কোনো বিশ্বাস নেই সেহেতু সতর্কতাই হতে পারে একমাত্র সমাধান। যদিও যুগের তালে তালে বর্তমানে ক্যান্সার রোগের প্রতিষেধকও বেড়িয়েছে। তবে ক্যান্সার রোগের বিভিন্ন ক্যাটাগরির অনেক সাব-ক্যাটাগরি নিয়ে এখনো কোনো সঠিক সমাধান পাওয়া যায়নি!

সে যাইহোক! আজ আমরা আলোচনা করবো  ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি, ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ কি কি, মহিলাদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ, ব্লাড ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ, ব্লাড ক্যান্সার স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ, ব্লাড ক্যান্সার রোগের লক্ষণ এবং ক্যান্সার হলে কি কি খাওয়া উচিত সে-সম্পর্কে। সুতরাং মিস করতে না চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন।

ক্যান্সার কি ভালো হয়?

অনেকেই জানতে চান ক্যান্সার ভালো হওয়ার কোনো চান্স থাকে কিনা সে-সম্পর্কে! যদিও এই রোগ একটি মরণঘাতী রোগ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর প্রতিকারও মেলে। আজকাল এমন অনেক ব্যাক্তি পাওয়া যাবে যারা সরাসরি ক্যান্সার রোগ থেকে বেঁচে ফিরেছে।

ক্যান্সার রোগ ভালো হবে কিনা সে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করবার আগে বুঝতে হবে একজন ব্যক্তির ক্যান্সার নিরাময় করা যেতে পারে কিনা তা নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন এবং পর্যায়ের উপর। এছাড়াও এই রোগ সেরে উঠার পেছনে প্রভাব হিসেবে কাজ করতে পারে রোগের চিকিৎসার ধরন এবং অন্যান্য কারণ!

ক্যান্সার রোগের কোনো আলাদা কিংবা নির্দিষ্ট ট্রিটমেন্ট নেই। এক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্যাটাগরির ক্যান্সার সেরে যাওয়ার চান্স বেশি থাকে। আবার কিছু কিছু ক্যাটাগরির ক্যান্সার সারতে সময় নেয়। এছাড়াও এমন কয়েক ধরণের ক্যান্সার বা ক্যান্সার রোগের স্টেজ রয়েছে যাতে পৌঁছে গেলে এই রোগ সারা কোনো চান্সই থাকে না।

ক্যান্সার রোগ সেরে উঠার আবার বিভিন্ন ধরণ আছে। এমন কিছু ক্যান্সার রোগ আছে যা হয়তো মনে হতে পারে ইতিমধ্যেই সেরে গেছে। তবে পরবর্তীতে এই রোগ হয়তো আবারো দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে যেহেতু কোনো নিশ্চয়তা নেই সেহেতু ডাক্তারের পরামর্শ কিছুটা কাজে লাগানো এবং অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। তবে গবেষকরা বলছেন যত বেশি সময় ধরে রোগীর দেহে এই রোগ আবার ফিরে না আসবে ততবেশি পরিমাণে তা পুরোপুরি নির্মূলের চান্স কাজ করবে।

আপনার আশেপাশে যদি কোনো ক্যান্সার রোগী থেকে থাকে কিংবা আপনি নিজেই যদি এই রোগে আক্রান্ত হোন তবে নিশ্চিয় কখনো কখনো “ক্যান্সার সারভাইভার” হওয়ার ব্যাপারটি শুনে থাকবেন।

মূলত ক্যান্সার সারভাইভার হওয়া মানে হলো একেকজন রোগীর কাছে এক এক ধরণের রোগ নিরাময়ের পর্যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে এই ক্যান্সার সারভাইভার হতে পারে চিকিৎসার পর রোগমুক্তি লাভ তবে খানিকটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে যাওয়া। আবার কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে এই একই ব্যাপারের মানে হলো সারা জীবন ধরে চিকিৎসা নিতে নিতে বেঁচে থাকা।

সব কথার মূল কথা হলো ক্যান্সার রোগ আদৌ রোগীর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাময় হবে কিনা তা নির্ভর করবে রোগীর রোগ, রোগীর ধরণ, চিকিৎসা, ভাগ্য এবং প্রতিষেধকের উপর। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ ক্যান্সার কেসেই রোগী বেঁচে থাকার সুযোগ পাচ্ছে।

ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি?

শুরুতেই বলবো আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ে যদি বুঝতে পারেন আপনার মাঝে থাকা লক্ষণ গুলির সাথে ব্লাড ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ গুলি মিলে গেছে তবে মোটেও ভেঙে পড়বেন না। অন্ততপক্ষে সুস্থ হবার প্রয়াসে যতটা সম্ভব নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করুন। আর হ্যাঁ! নিচে উল্লেখিত প্রতিটি লক্ষণই কিন্তু ক্যান্সার রোগে প্রাথমিক লক্ষণ!

১. অস্বাভাবিক জ্বর অনুভব করা

রাতের দিকে অনেক বেশি জ্বর অনুভুত হওয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা ব্লাড ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরে থাকেন। এক্ষেত্রে নিয়মিত জ্বর আসার একটি ব্যাপার আছে। তাছাড়া ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে জ্বরকে ধরে নিতে হলে চেক করতে শেষ রাতের দিকে প্রচুর ঘাম নিঃসরণ হয় কিনা!

পাশাপাশি মাথায় রাখতে আপনার কোনো ঠান্ডাজনিত কোনো রোগ আছে কিনা কিংবা এমন কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার চান্স আছে কিনা, যে ভাইরাসের ক্ষেত্রে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। মোট কথা অস্বাভাবিকভাবে আসা জ্বরকে অবশ্যই গুরুত্বের সাথে নিতে হবে।

২. ত্বকের পরিবর্তন লক্ষ্য করা

অনেক সময় জন্ডিস রোগকে ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। আমরা মোটামুটি সকলেই জানি জন্ডিস রোগের ক্ষেত্রে ত্বকের পরিবর্তন একটি কমন প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাজ করে।

জন্ডিস রোগ আদৌ আপনার দেহে থাকা ক্যান্সারের ভাইরাসের কথা জানান দিচ্ছে কিনা সে-সম্পর্কে কনফার্ম হতে হলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে অনেকদিন যাবত এই রোগে ভুগলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি।

৩. অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা

সাধারণত ক্যান্সার রোগ দেহে বাসা বাঁধা মানেই ক্যান্সারের ভাইরাস দেহে ছড়িয়ে পড়া। এক্ষেত্রে ক্যান্সারের যে ভাইরাস রয়েছে সেই ভাইরাস সাধারণ মানুষের দেহের পুষ্টিমান বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাঁধা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে এই পুষ্টিমান সঠিকভাবে বজায় না থাকলে মানুষ অতিরিক্ত ক্লান্তবোধ করা শুরু করে। ফলে অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করাকে ক্যান্সার রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

তবে মাথায় রাখতে হবে ক্লান্তিবোধ করার সাধারণ কারণও থাকতে পারে। আপনি যদি না খেয়ে সারাদিন কাটিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেন সেক্ষেত্রে ক্লান্তি তো অবশ্যই আপনার পিছু ছাড়বে না। আবার সারাদিন অনেক বেশি পরিশ্রম করলেও ক্লান্তিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে এই ক্লান্তিবোধকে ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়াটা নিতান্তই বোকামি হতে পারে।

৪. কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া

অকারণে যদি আপনার ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে গবেষণা বলছে নিয়মিত ১০ ক্যালোরি করে যদি কমতে থাকে সেক্ষেত্রে ব্যাপারটিকে স্বাভাবিক ধরে নেওয়া যায়।

আবার আপনি যদি কোনো হার্ড ডায়েট কিংবা হার্ড ওয়ার্ক-আউটের কারণ ওজন কমান সেক্ষেত্রেও ওজন কমে যাওয়ার ব্যাপারটিকে ক্যান্সারের কারণ হিসেবে ধরা যাবে না।

৫. ক্যান্সারের প্রতিকার কি কি?

ক্যান্সার পুরোপুরি প্রতিকার হবে কিনা কিংবা হলেও কতটুকু হবে সে ব্যাপারে আর্টিকেলের পূর্বের একটি অংশে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবারে আমরা জানবো ক্যান্সারের প্রাথমিক প্রতিকার কি কি সে-সম্পর্কে।

৬. ইমিউনোথেরাপির সাহায্য নিতে পারেন

শুরুতেই বলে রাখি ইমিউনোথেরাপি কিন্তু খুব বেশি নতুন কোনো চিকিৎসা নয়। তবে সবচেয়ে খুশির ব্যাপার হলো এ-পর্যন্ত বেশ কয়কজন ক্যান্সার রোগীকে এ চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য করে তুলতে পেরেছেন স্টেবিং। শুধু তাই নয়! এসব রোগীর পক্ষে মাত্র কয়েক মাস বেঁচে থাকা সম্ভব ছিল। এই অপ্রচলিত চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের টিউমারগুলো দূর হয়ে যায় এবং তারা ক্যান্সার রোগকে সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।

যারা ইমিউনোথেরাপি সম্পর্কে একেবারেই জানেন না তাদের এ-ব্যাপারে কিছু কমন ধারণা কিংবা তথ্য জানানো উচিত। মূলত ক্যান্সার ইমিউনোথেরাপি হলো এক ধরনের চিকিৎসা সিস্টেম। যা ক্যান্সার প্রতিরোধের ন্যাচারাল ব্যবস্থাকে ক্যান্সার কোষের সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে।

বলে রাখা ভালো ইমিউন সিস্টেমকে বিভিন্ন অঙ্গ, কোষ এবং টিস্যু দিয়ে গঠন করা হয়। যা শরীরকে বাইরের আক্রমণকারী ভাইরাসদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এসব ভাইরাসের মধ্যে রয়েছে:

  1. ব্যাকটেরিয়া
  2. ভাইরাস
  3. পরজীবীসহ অন্যান্য ভাইরাস

যাইহোক, মূল কনসেপ্ট হলো ক্যান্সার কোষগুলি আমাদের শরীরেরই একটি অংশ হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে এসব কোষকে আমাদের দেহ আক্রমণকারী কোষ হিসেবে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। এই কারণে, ইমিউন এসব কোষদের খুঁজে বের করতে সাহায্য প্রদান করে।

৭. মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ইমিউন সেল

সহজ কথায় অ্যান্টিবডি মানে হলো এক ধরণের প্রোটিন। বি কোষের প্রোটিন হিসেবে এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি বিবেচিত হয়ে থাকে। মজার ব্যাপার হলো একবার একটি অ্যান্টিবডি যদি একটি অ্যান্টিজেনের সাথে আবদ্ধ হতে পারে সেক্ষেত্রে টি-কোষগুলি সেই অ্যান্টিজেনকে খুঁজে তা ধ্বংস করতে পারে।

ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি (এমএবি) থেরাপিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে। যা ক্যান্সার রোগের ভাইরাস কিংবা অ্যান্টিজেনকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে। এই থেরাপিটিকে রোগীর দেহে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে ইনজেকশনের সাহায্য নেওয়া হয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিগুলি তেজস্ক্রিয় কণা বা কেমোথেরাপির ঔষধের সাথে সংযুক্ত করা যেতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এগুলোকে কনজুগেটেড MBBS বলা হয়।

৮. ইমিউন চেকপয়েন্ট ইনহিবিটার

ইমিউন চেকপয়েন্ট ইনহিবিটারগুলি ক্যান্সারের প্রতি ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া বাড়ানোর একটি চিকিৎসা। এই সিস্টেমটি ক্যান্সার রোগীর দেহের ভেতরকার জীবাণু ধ্বংস না করে বাইরের জীবাণুর সাথে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে বাঁধা প্রদান করে। যার ফলে ভেতরে থাকা ক্যান্সারের জীবাণু শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে না।

এই ইমিউন চেকপয়েন্ট ইনহিবিটারগুলি ফুসফুসের ক্যান্সার এবং ত্বকের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে এই ইমিউন চেকপয়েন্ট ইনহিবিটার চিকিৎসায় ল্যাব বা ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলিতে চিকিৎসাটির জিন থেরাপি নামক অংশটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

৯. ভাইরোথেরাপি চিকিৎসা নিতে পারেন

একেবারে সহজ কথায় ভাইরোথেরাপি হলো ক্যান্সার রোগের জীবাণু কোষকে বেছে বেছে মারার জন্য একধরণের ভাইরাসের ব্যবহার। ভাইরোথেরাপিতে ব্যবহৃত ভাইরাসগুলিকে বলা হয় অনকোলাইটিক ভাইরাস। এসব ভাইরাস একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত হয়।

গবেষকেরা এই চিকিৎসায় সাধারণত একের অধিক ভাইরাস ব্যবহার করে থাকে। তবে সরাসরি রোগীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার কাজে একটি মাত্র ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। এই ভাইরাসটিকে ট্যালিমোজেন লাহেরপারেপভেক (T-VEC) বলা হয়ে থাকে।

বলে রাখা ভালো এটি একটি পরিবর্তিত হারপিস ভাইরাস। যা মেলানোমা ত্বকের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ভাইরাস কিন্তু অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা যায় না!

ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়?

ক্যান্সার রোগীর ক্ষেত্রে গ্রহণ করা খাবারও প্রভাব ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে সকলের ক্যান্সার রোগীর খাবার সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। ক্যান্সার রোগী যেসব খাবার খেতে পারবেন:

১. চিনি

অতিরিক্ত চিনি খেলে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যায়। যা ক্যান্সারের জীবাণুকে আরো বেশি পরিমাণে উশকে দেয়। সুতরাং অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।

২. শাকসবজি

শাকসবজি বিশেষ করে টমেটো ক্যান্সার রোগীর গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়৷ সুতরাং এই সময়টাতে শাক-সবজি খাওয়ার পরিমাণকে বাড়িয়ে দিন।

৩. মাংস

ক্যান্সারের জীবাণু দেহে বাসা বাঁধার সাথে সাথে মাংস খাওয়ার পরিমাণটুকু কমিয়ে দিন। মনে রাখবেন যত বেশি পরিমাণে মাংস খাবেন তত বেশি পরিমাণ ঝুঁকি বাড়তে থাকবে।

৪. ফাইবারযুক্ত খাবার

ক্যান্সার রোগীর উচিত নিয়মিত ২৫ গ্রামের মতো ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করা। বিশেষ করে যাদের লিভার ক্যান্সার রয়েছে!

ইতি কথা

ব্লাড ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ গুলি কি কি এবং ক্যান্সার রোগের প্রতিকার নিয়ে এই ছিলো আমাদের আজকের এই আলোচনা। আশা করি এই রোগ সম্পর্কিত সকল সতর্ক সংকেত ক্যাটাগরির তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন!

শুধু জেনে-বুঝে বসে থাকলেই হবে না। নিজের এবং আশেপাশের মানুষের মাঝে এসব লক্ষণ চোখে পারলে সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তার প্রতিকারের চেষ্টা করতে হবে। ভেঙে না পড়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে আবেদন জানানোসহ যাবতীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোমী হতে হবে।

Exit mobile version