রান্নায় সরিষার তেল খেলে কি সত্যিই ওজন কমে? নাকি ওজন কমানোর পরিবর্তে এই তেল শরীরের ওজনকে বেড়ে উঠতে আরো উশকে দেয়? যেহেতু তেল জাতীয় প্রতিটি খাবারই শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে! এমতাবস্থায় সরিষার তেল খেলে শরীরের ওজন কমে কিনা…এ-নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে থাকাটাই স্বাভাবিক! আপনার স্বাভাবিকতা আরো কিছুটা অর্থবহ করে তুলতে চলে এলাম আরো একটি আর্টিকেল নিয়ে!
আজ আমরা আলোচনা করবো রান্নায় সরিষার তেলের উপকারিতা, চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা, সরিষার তেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, ত্বকের যত্নে সরিষার তেল নিয়ে। যেখানে থাকবে এই তেল সম্পর্কিত যাবতীয় অজানা তথ্য এবং টিপস! সুতরাং মিস করতে না চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন।
সুচিপত্র
রান্নায় সরিষার তেলের উপকারিতা
শুরুতে আমরা রান্নায় সরিষার তেলের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো। বলা হয়ে থাকে বাঙালিরা যদি সরিষার তেলে রান্না করা মাছের কথা বলে তবে জিভে জল আসতে খুব একটা সময় লাগে না! রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহারের অনেকগুলি কারণের মাঝে অন্যতম কারণ হলো স্বাদ বাড়ানো! তবে স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি এই তেলের উপকারিতাও অগ্রাহ্য করবার মতো নয়।
রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে সরিষার তেলের উপকারিতা দেখার মতো। এশিয়ায় এভাবে সরিষার তেল দিয়ে রান্না করার প্রচলন বেশ অনেককাল আগে থেকে এখনো অব্দি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং ভারতের ট্রেডিশনাল ফুডগুলিকে আরো মজাদার করে তুলতে সরিষার তেলের যেনো কোনো তুলনাই হয় না। এছাড়াও এটি বেশ কয়েকটি কাশ্মীরি খাবারেও সরিষার তেলের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। মোটকথা রান্নার স্বাদ বাড়াতে বাংলা, বিহার, আসাম, উড়িষ্যা এবং নেপাল এই সরিষার তেল ব্যবহারের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে।
ইউএসডিএ একটি গবেষণা থেকে রান্নায় ব্যবহৃত সরিষার তেল নিয়ে একটি দারুণ ব্যাপার শেয়ার করেছে। এই গবেষণা বলছে প্রতি ১ টেবিল চামচ সরিষার তেলে থাকছে ১২৬ গ্রাম ক্যালোরি। সুতরাং যাদের দেহে ক্যালোরির ঘাটতি রয়েছে তারা পুষ্টি-সংক্রান্ত কারণকেও পুঁজি করে রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারে।
আপনি কি জানেনা ভালো পরিমাণ সরিষার তেল দিয়ে রান্না করা খাবারে পোকামাকড় বসার চান্স একেবারেই কম থাকে? হ্যাঁ! যেসব খাবারে আপনি একটু বেশি পরিমাণ সরিষার তেল যোগ করবেন সে-সব খাবারে পিঁপড়া কিংবা পোকামাকড় বসার সুযোগ পাবে না। কারণ সরিষার তেলে থাকা আলাদা তীব্র গন্ধ কিংবা ঝাঁজ পোকামাকড় সহ্য করতে পারে না। ফলে এই তেল থাকা খাবারে তারা আক্রমণ চালাতে পারে না।
রান্নায় ব্যবহার করা সরিষার তেল আমাদের দেহের বাড়তি উপকারিতা সাধনে কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে সৌন্দর্যের দিক দিয়েও এই তেলের গুরুত্ব অস্বীকার করবার মতো নয়। সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়েছে এমন খাবার খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কারণ সরিষার তেলে রয়েছে অলিক অ্যাসিড এবং লিনোলিক অ্যাসিড। এসব উপাদানকে সাধারণত ফ্যাটি এসিডের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। সুতরাং লজিক অনুযায়ী এই ফ্যাটি এসিড গ্রহণের ফলে চুলের বৃদ্ধি, চুলের ম্যাসাজে রক্ত সঞ্চালনসহ নানান সুবিধা পাওয়া যায়।
যারা সারা বছরের জন্যে একসাথে আচার তৈরি করে রাখেন তাদের ক্ষেত্রে সরিষার তেল বেশ উপকারে আসতে পারে। কারণ সারা বছর আচার সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সরিষার তেল ব্যবহার করা যায়। সাধারণত সরিষার তেলে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে সহজে আচার পঁচে না। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন মা-চাচীরা আচার বানানোর ক্ষেত্রে সয়াবিন তেলের চাইতে সরিষার তেলকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। মূলত আচার সংগ্রহ করার গুণের কারণে আচারে এই তেল ব্যবহার করা হয়।
ত্বকের যত্নে সরিষার তেল
ত্বকে সরিষার তেলের ব্যবহার! এমনটা কখনো হয় নাকি! অবাক হবার কিছু নেই! টিপসগুলি সেকেলে হলেও উপকরণটির উপকারিতা এখনো সেই আগের মতোই সতেজ। বলছিলাম ত্বকে সরিষার তেলের উপকারিতার কথা। যারা এই উপকারিতা মিস করতে চান না তারা জেনে নিন ত্বকে সরিষার তেলের উপকারিতা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
ত্বক গ্রো করে:
যাদের ত্বকে গ্রোয়িংয়ের অভাব রয়েছে এবং কিছুতেই ত্বক উজ্জ্বল করতে পারছেন না তারা সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। আজকাল যারা ত্বক উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে সরিষার তেল ব্যবহার করে তারা আরেকটু আপডেট হতে সরিষার তেলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে নারিকেল তেল এবং সমপরিমাণ সরিষার তেল মিক্স করে তা ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে:
সরিষার তেল দিয়ে তৈরি করা ফেসপ্যাক ত্বকের ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। রাতের শোয়ার আগে খানিকটা নারিকেল তেল এবং সরিষার তেল মিক্স করে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে তা ব্যবহার করুন। এই প্যাক কিন্তু অনেক দিন ধরে সংগ্রহও করতে পারবেন চাইলে!
ট্যান কমাতে কাজ করে:
ট্যান নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই। বিশেষ করে গরমকালে ফেইসের বাড়তি ট্যান যেনো আপাদমস্তক বিপদের স্তূপ। এক্ষেত্রে সরিষার তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। যা সানস্ক্রিনের মতো কাজ করবে। খানিকটা সরিষার তেল এবং লেবুর রস মিক্স করে নিন। রোদে বের হবার আগে তা ফেইসে এপ্লাই করুন। দেখবেন ট্যানসহ রোদের কারণে যাবতীয় ত্বকের ক্ষতি এক নিমিষেই পালিয়ে যাবে।
সরিষার তেল মালিশের উপকারিতা
ত্বকে কিংবা রান্নায় সরিষার তেল এপ্লাই করার পাশাপাশি এই তেল কিন্তু সারা শরীরে মালিশ করা যায়। বহু যুগ ধরে এমনটাই করে আসছেন আমাদের মা-চাচীরা! প্রশ্ন হলো রান্নার এই তেল শরীরে মালিশ করা হয় কেনো? কারণ এর উপকারিতা অগ্রাহ্য করবার মতো সাধ্যি কারো নেই! কেনো বলছি? জানতে হলে দেখে নিন সরিষার তেল মালিশের উপকারিতা কি কি হতে পারে!
চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা
চুলের যত্নেও আপনি চাইলে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে নারিকেল কিংবা অন্যান্য তেলের পরিবর্তে এই তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলের জন্য সরিষার তেলের উপকারিতাগুলি হলো:
- সরিষার তেলে থাকা ফ্যাটি এসিড দ্রুত চুল লম্বা করতে সাহায্য করে।
- মাথায় সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।
- চুলের গোড়া মজবুত করতে সরিষার তেলের ভুমিকা দেখার মতো।
- সরিষার তেল ব্যবহার করলে চুল অকালে ঝড়ে পড়া ঠেকানো যায়।
- চুলকে সিল্কি করে তুলতে সরিষার তেল ব্যবহার করা যায়।
- সুন্দর এবং আকর্ষণীয় চুল পেতে সরিষার তেলের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।
চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা
চুলে সরিষার তেলের ব্যবহারে যেমন উপকারিতা পাওয়া যায় ঠিক তেমনই এর অপকারিতাও মোকাবিলা করার দরকার পড়ে। মূলত মাথায় বা চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করলে সাইড এফেক্ট হিসেবে ত্বকের জ্বালা পোড়া সহ্য করবার প্রয়োজন পড়তে পারে। পাশাপাশি মাথায় দেখে দিতে পারে ফুসকুড়ি কিংবা সাদা সাদা ফোস্কা।
মাথায় সরিষার তেল ব্যবহার করলে সাথে সাথে চোখ জ্বলতে থাকে। চোখের চুলকানি এবং লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে কম পরিমাণ সরিষার তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের মাথায় কিংবা চুলের গোড়ায় সাধারণত বিভিন্ন ছিদ্র থাকে। সরিষার তেল ব্যবহারের কারণে এসব ছিদ্র ভরাট হয়ে যেতে পারে।
সরিষার তেল খেলে কি হয়?
সরিষার তেল খাওয়ার উপকারিতা। সরিষার তেলের অসংখ্য ব্যবহার থাকলেও সবচেয়ে কমন ব্যবহারগুলি সাধারণত রান্নাতেই দেখা যায়। এছাড়াও শুধু শুধু কিংবা নির্দিষ্ট উপকরণ মিশিয়েও সরিষার তেল খাওয়া যায়। সরিষার তেল খেলে যেসব উপকার ভোগ করতে আপনাকে বেগ পেতে হবে না সে-সব উপকারগুলি হলো:
আর্থ্রাইটিস রোগের কষ্ট কমায়:
সরিষার তেল খেলে আর্থ্রাইটিস রোগের যে পেইন বা বাড়তি কষ্ট তা থেকে সাময়িক মুক্তি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সরিষার তেলে রান্না করা খাবারের দিকে মনোযোগী হতে হবে।
মাইগ্রেন দূর করে:
যারা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন তারা সরিষার তেলের সাহায্য নিতে পারেন। সরিষার তেলে যেহেতু ম্যাগনেসিয়াম উপাদানটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় সেহেতু এই তেলে রান্না করা খাবারকে মাইগ্রেন দূর করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে:
ব্লাড প্রেসারে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসুবিধা হলে সরিষার তেলের সাহায্য নিতে পারেন। তেলটিতে থাকা কপার, আয়রণ, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম নামক খনিজ উপাদানগুলি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
অনেকের শরীরে বাড়তি দূর্বলতা কাজ করে। এর দরুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেমে আসে শূন্যের কোঠায়। এক্ষেত্রে সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বেড়ে যাবে।
সরিষার তেল খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?
চলে এলাম একটি কমন প্রশ্ন অর্থ্যাৎ “সরিষার তেল খেলে কি সত্যিই ওজন কমে” – সম্পর্কিত রিসার্চবহুল অংশে। এক কথায় সরিষার তেল খেলে ওজন কমে। তবে গবেষকদের মতে এই তেলটি কিন্তু সরাসরি ফ্যাট বার্ন করে ওজন কমায় না। বরং এই তেল খেলে হজম শক্তি বাড়ে এবং হজম শক্তি বাড়লে ওজন কমানোর চান্স বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই রান্নায় ব্যবহার করা সরিষার তেল খেতে হবে।
ঠান্ডায় সরিষার তেলের ব্যবহার
ঠান্ডায় সরিষার তেলের উপকারিতা। ঠান্ডায় বা শীতকালে বিভিন্নভাবে আপনি সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন:
- ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সরিষার তেল ব্যবহকর করতে পারেন
- শীতকালে ত্বকের রুক্ষতা কমাতে সরিষার তেলের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে
- কাঁশি বেড়ে গেলে সরিষার তেল, লবণ এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন
- শীতকালের ঠান্ডা কমাতে মাথায় সরিষার তেল দিতে পারেন
ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেলের উপকারিতা
মনে রাখবেন অধিকাংশই ইলেক্ট্রিক প্রেসের মাধ্যমে ভাঙ্গানো সরিষার তেল এবং ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেলের মাঝে বিরাট ফারাগ রয়েছে। দু’টোর উপকারিতা দুই ক্যাটাগরির। এক্ষেত্রে ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেলের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি।
ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল আমাদের দেশীয় রান্নার স্বাদ বাড়াতে দারুণভাবে কাজ করে। বিশেষ করে রান্নাকৃত খাদ্যের পুষ্টিমান বজায় রাখতে ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেলের উপকারিতা মোটেও অগ্রাহ্য করবার মতো নয়। এছাড়াও ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল দ্বারা করা রান্নাকৃত খাবার গ্যাস্ট্রিকে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে।
পরিপাক তন্ত্র, রক্ত সংবহন তন্ত্র ও রেচন তন্ত্রের শক্তিশালী উৎস হলো ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল। দিনশেষে শরীরের সারা দিনের ক্লান্তি ভরা পেশীগুলি যেনো আর নড়াচড়াই করতে চায় না। এক্ষেত্রে ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেলে রান্না করা খাবার দেহে সৃষ্টি করতে পারে নতুন শক্তির সঞ্চার। যারা সহজেই দূর্বল হয়ে পড়েন কিংবা নিয়মিত হার্ড ওয়ার্ক করেন তারা এই ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেতে পারেন।
যারা নিয়মিত যারা জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস রোগসহ নানা কারণে ব্যাথাজনিত নানান সমস্যার সাথে যুদ্ধ করে আসছেন তারা ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেলের উপকারিতাকে কাজে লাগাতে পারেন। বর্তমানের ফেইক সরিষার তেলের চাইতে এই ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেলে রান্না করা খাবার আপনাকে এসব ব্যাথা থেকে মুক্তি দিতে পারে সহজেই!
ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করা বেশ বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ করে যাদের ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায় তারা এক বাটি পানিতে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল ফেলে তা গরম করে এর ভাপ নিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে ব্যবহার করা সরিষার তেলটুকু হতে হবে ঘানি ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেল!
ইতি কথা
আজকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল রান্নায় সরিষার তেল খেলে কি সত্যিই ওজন কমে, রান্নায় সরিষার তেলের উপকারিতা, চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা, সরিষার তেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। আশা করি রান্নায় সরিষার তেল খেলে কি সত্যিই ওজন কমে কিংবা ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল চেনার উপায়সহ এই তেল সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের এই গাইডলাইনধর্মী আর্টিকেলটি ফলো করতে পারলে সরিষার তেল সম্পর্কিত যেকোনো কনফিউশান দূর হয়ে যাবে। আজকের মতো এতোটুকুই! ভালো থাকুন এবং খাঁটি সরিষার তেলের ব্যবহার নিশ্চিত করুন