অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

আপনার কি অতিরিক্ত মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে? আপনি কি চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার তেল এবং চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ এই প্রবন্ধে আমরা অতিরিক্ত মাথার চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এবং চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার।

মাথার চুল পড়া নিয়ে যেনো সমস্যার শেষ নেই। একবার চিরুনি লাগালেই কয়েক গোছা চুল চলে আসছে হাতে। এমনিতেই তো চুলের ধরন পাতলা! তার উপর যদি আরো বেশি পরিমাণ চুল পড়তে থাকে তবে মাথা ন্যাড়া করা ছাড়া আর উপায় কি! আবার মাথাভর্তি চুলের সৌন্দর্য নিয়ে এতোদিন রাজত্বি করতে পারলেও হুট করে যেনো তা আর হচ্ছে না! এমন সব সমস্যার সমাধান হিসেবে সকল ভুক্তভোগীকে জেনে নিতে হবে মাথার চুল পড়া কীভাবে বন্ধ হবে সে-সম্পর্কিত টিপস। যা আমাদের আজকের এই আলোচনায় বিস্তারিত শেয়ার করা হবে। সুতরাং মিস করতে না চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন।

এই প্রবন্ধে আলোচনায় যা যা থাকছে:

  • চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
  • চুল পড়া বন্ধ করার তেল
  • চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ
  • মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম
  • মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
  • চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ঔষধ
  • অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
  • চুল পড়া বন্ধ করার ইসলামিক উপায়
  • চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়
  • চুল পড়ার ডাক্তারি চিকিৎসা

মাথার চুল পড়ার কারণ?

যেকোনো সমস্যা প্রতিরোধ কিংবা প্রতিকার করার আগে এর কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। মাথার চুল পড়া কীভাবে বন্ধ হবে তা নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে আমরা জেনে নিবো মাথার চুল পড়ে কেনো কিংবা মাথার চুল পড়ার পেছনের কারণ সম্পর্কে।

১) মানসিক চাপ

মানসিক চাপে যারা সবসময় দিনাতিপাত করেন তাদের ক্ষেত্রে চুল পড়া সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। একটি গবেষনায় দেখা গেছে অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ হিসেবে রোগীদের মাঝে মানসিক চাপে থাকা সম্পর্কিত সমস্যার খোঁজ পাওয়া গেছে।

২) শারিরীক সমস্যা

অনেক সময় শারীরিক সমস্যার কারণেও চুল পড়তে পারে। বিশেষ করে শারীরিক চাপের কারণে এই ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন অস্ত্রোপচার, অতিরিক্ত জ্বর কিংবা অন্যান্য জটিল রোগের কারণে চুল তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ঝড়ে পড়তে শুরু করে।

৩) হরমোনের পরিবর্তন

বিভিন্ন কারণে মানবদেহে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে থাকে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর ক’দিন ধরে চুল পড়তে পারে। এছাড়াও বয়সের কারণে ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে চুল ঝড়ে পড়তে পারে।

৪) ঔষধের সাইড এফেক্ট

যাদেরকে ডক্টরেররা রক্ত পাতলা করার ঔষধ সাজেস্ট করেছে তাদের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি কেমোথেরাপিতে ব্যবহার করা বিভিন্ন ঔষধও চুল পড়ার কাজে বেশ ভালো ভুমিকা পালন করে থাকে।

৫) পুষ্টির অভাব

দেহে বিদ্যমান ভিটামিনের অভাব মাথার চুল শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারে। বিশেষ করে যারা কম আয়রনজনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের চুল পড়ে যাওয়ার দলে থাকতে পারেন। আবার অন্যদিকে দেহে অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন A এর কারণেও মাথার চুল ঝড়তে ঝড়তে টাকলা কাকু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অতিরিক্ত মাথার চুল পড়া বন্ধ করার উপায় কি?

একটি গবেষণা বলছে প্রতিটি ভুক্তভোগী ব্যাক্তির ক্ষেত্রে নিয়মিত ৫০/১০০ পিস চুল ঝড়ে পড়ার রেকর্ড রয়েছে। বলে রাখা ভালো চুল ঝড়ে পড়া এই রোগের নাম কিন্তু অ্যালোপেসিয়া। আর এই অ্যালোপেসিয়া রোগের ফাঁদে পড়ে প্রতিদিনই অসংখ্য চুলপ্রেমী তাদের শখের চুল হারাতে বসেছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে বেশকিছু টিপস ফলো করতে পারলে সমস্যার সমাধান ঘটাতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না। এসব টিপস হলো:

১) ভিটামিন গ্রহণ করুন

শুরুতে আপনার দেহে ঠিক কোন কোন ভিটামিনের অভার রয়েছে তা জেনে নিন। এক্ষেত্রে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। নিয়মিত ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ই, জিঙ্ক এবং আয়রনের মতো কিছু ভিটামিন এবং খনিজ গ্রহণ করার চেষ্টা করুন৷ শুধু চুলই নয়, এসব ভিটামিন আপনার ত্বক এবং পেশীকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। চুল ঝড়ে পড়া রোধ করার পাশাপাশি এসব ভিটামিন চুলের বৃদ্ধি ঘটাতেও কাজ করবে।

২) চুলের যত্ন নিন

চুলে যদি জট লাগে তা দ্রুত ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। নিয়মিতভাবে চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। হেয়ার ডাইসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রিক্যার হেয়ার প্রোডাক্টের ব্যবহার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। খুব জোরেসোরে খোঁপা, বেণী করা কিংবা চুল বাঁধার অভ্যাস যাদের রয়েছে তারা দ্রুত এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসুন। চুল বাঁধার সময় কিছুটা ছেড়ে দিয়ে অর্থ্যাৎ লুজ করে বাঁধার চেষ্টা করুন।

৩) প্রোটিন গ্রহণ করুন

চুল ঝড়ে পড়ার সমস্যা দূর করতে অতিরিক্ত পরিমাণ প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত। যারা নিরামিষভুজি তারাও প্রোটিনের অভাবটা যেকোনো উপায়ে পূরণ করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতে পারলেই চুল ঝড়ে পড়ার সমস্যা নিয়ে খুব একটা ভাবতে হবে না। যারা নিরামিষভোজী তারা প্রোটিনের অভাব পূরণ করার ক্ষেত্রে দই, মটরশুঁটি এবং ডিম খেতে পারেন।

চুল পড়া বন্ধ করার শ্যাম্পুর নাম কি?

চুল পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। আজ আমরা সাশ্রয়ী মূল্যের বেশকিছু প্রাকৃতিক শ্যাম্পুর ব্যাপারে আলোচনা করবো। যা চুল পড়ার পরিমাণ অবিশ্বাস্যভাবে কমিয়ে আনবে।

১) বোটানিক হার্থ বায়োটিন শ্যাম্পু: চা পাতা থেকে বের করা উপাদান দ্বারা তৈরি করা এই বায়োটিন শ্যাম্পুটি বেশ জনপ্রিয় একটি শ্যাম্পু। মূলত চা পাতায় থাকা ভিটামিন ব্যাক্তির চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।

২) হিমস হেয়ার থিকেনিং শ্যাম্পু: এটি হলো ছেলেদের বেশ জনপ্রিয় একটি শ্যাম্পু। যা মাথায় টাক ধরে যাওয়ার মতো বিপদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৩) মিন্ট ভলিউমাইজিং শ্যাম্পু: এই শ্যাম্পু তৈরি করা হয় সামুদ্রিক শৈবাল থেকে। প্রাকৃতিক নিয়মে তৈরি করা এই শ্যাম্পুও মেয়েদের চুল ঝড়ে পড়া হ্রাস করে।

৪) লুসেটা বায়োটিন বি-কমপ্লেক্স থিকেনিং শ্যাম্পু: লুসেটা বায়োটিন বি-কমপ্লেক্স থিকেনিং শ্যাম্পু হলো স্প্লিট এন্ডের জন্য সেরা একটি ন্যাচারাল শ্যাম্পু। এটি বাংলাদেশের যেকোনো হেয়ার বিউটি রিলেটেড শপ থেকে কেনা যাবে।

অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম?

তেল কিংবা হেয়ার অয়েল! যাই বলুন না কেনো…চুলের ঝড়ে পড়া রোধে কাজ করবে এমন তেল হতে পারে চুল সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যার সমাধান। তবে এক্ষেত্রে সঠিক তেল বাছাইয়ে সচেতন হতে হবে। যা বিবেচনা করে এবারে আমরা আলোচনা করবো চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম যা ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।

বায়োটিক বায়ো ভ্রিংরাজ থেরাপিউটিক হেয়ার অয়েল: এটি একটি আয়ুর্বেদিক তেল। যা চুল ঝড়ে পড়া রোধ করাসহ চুলের ড্রাইভাব, চুলে থাকা খুশকি ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। সাধারণত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ই দিয়ে এই তেলটি তৈরি করা হয়। বাংলাদেশী টাকায় এই তেলটির দাম মাত্র ২১৭ টাকা।

হিমালয় অ্যান্টি-হেয়ার ফল হেয়ার অয়েল: ভেষজ উপাদান দ্বারা তৈরি করা এই হিমালয় অ্যান্টি-হেয়ার ফল হেয়ার অয়েল চুল পড়া কমাতে এবং দ্রুত সময়ে চুল লম্বা করে তোলার ক্ষেত্রে বেশ ভালোই কাজ করে। প্রতি ২০০ মিলিগ্রাম হিমালয় অ্যান্টি-হেয়ার ফল হেয়ার অয়েলের দাম ১৯৬ টাকার মতো।

চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন?

শুধু চুলের যত্নে শ্যাম্পু এবং তেল ব্যবহারই নয়! মাথায় রাখতে হবে প্রয়োজনীয় চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিনের কথা। চুল পড়া বন্ধে দরকার মজবুত চুল। এক্ষেত্রে ভিটামিন সি চুলকে মজবুত করে তুলতে পারে। পাশাপাশি দরকার ভিটামিন ডি জাতীয় অর্থ্যাৎ ডিম, মাছ, মাশরুমের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাবারগুলি। চুল পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি এর গুরুত্বও একেবারে অগ্রাহ্য করবার মতো নয়।

অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ কি?

সাধারণত চুল পড়ার ক্ষেত্রে মাথার ত্বকের বেশ প্রভাব কাজ করে। এক্ষেত্রে চর্মরোগ কিংবা এ-জাতীয় ঔষধ সেবন কিংবা প্রয়োগের দরকার পড়ে। সুতরাং যারা চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের সাথেই থাকুন৷

১) টপিকাল মিনোক্সিডিল

এই ঔষধটি আপনার চুলকে পাতলা হওয়া এবং ঝড়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করবে। এই ঔষধটি বিশেষ করে ত্বকের চিকিৎসা করে থাকে। যদিও কোনো রিসোর্সই এখনো ঔষধটি কিভাবে কাজ করে সে-সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বের করতে পারেনি। এটি একধরনের তরল জাতীয় ঔষধ যা মাথায় বা চুলে লাগাতে হয়। এটি ব্যবহারের প্রায় ৪ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে রেজাল্ট পাওয়া যায়।

২) অ্যান্টিঅ্যান্ড্রোজেন

হরমোনাল প্রবলেমের কারণে যাদের চুল পড়া-জনিত সমস্যা দেখা দেয় তারা এই অ্যান্টিঅ্যান্ড্রোজেন মেডিসিনটি ব্যবহার করতে পারে। তবে তার আগে আপনার চুল ঝড়ে পড়ার কারণ আদৌ হরমোনাল সমস্যা কিনা তা চেক করে নিতে হবে। এটি ব্যবহারের ৪ মাস পর ফলাফল পাওয়া শুরু করবেন।

৩) কর্টিকোস্টেরয়েড

এই ঔষধটি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে এটি সর্বোচ্চ ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ৪/৬ সপ্তাহ পরই এর রেজাল্ট পেতে শুরু করবেন। ঔষধটি যেমন প্রয়োগ করা যায় ঠিক তেমনই এটি ইনজেকশনের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়। তবে কর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বেশকিছু সাইড এফেক্টের মুখোমুখি হতে হয়।

চুল পড়া বন্ধ করার ইসলামিক উপায়?

চুল পড়া সমস্যা আজকাল অনেককেই ভোগ করতে হয়। এসব ভুক্তভোগীদের একটি বিশাল অংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের। এক্ষেত্রে তাদের উদ্দেশ্যে আর্টিকেলের এই অংশে আমরা শেয়ার করবো চুল পড়ার ইসলামিক চিকিৎসা সম্পর্কে। চলুন তবে শুরু করা যাক।

প্রথমেই দুরুদ শরীফ এবং আউজুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পড়ে পাঠ করুন সূরা বাকারার ৭১ নম্বর আয়াত অর্থ্যাৎ

مُسَلَّمَةٌ لَا شِيَةَ فِيهَا قَالُوا” “মুসাল্লামাতুল্ লা-শিয়াতা ফীহা”

সবশেষে দরূদ শরীফ পড়ে যে তেল ব্যবহার করবেন সেই তেলে ফুঁ দিন এবং তা ব্যবহার করুন। তবে মনে রাখবেন পুরো প্রক্রিয়াটিতে কাজ করার আগে অবশ্যই অযু করতে হবে এবং এই পড়া তেল ব্যবহার করার আগেও অযু করে নিতে হবে। আশা করি এই নিয়মে আমল করতে পারলে আপনার চুল পড়া রোগ একেবারেই কমে যাবে।

চুল পড়ার ডাক্তারি চিকিৎসা কি?

প্রয়োজনে আপনাকে চুল পড়ার ডাক্তারি চিকিৎসাও গ্রহণ করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি আমাদের আজকের আর্টিকেলের নিচের অংশটিতে ফোকাস করতে পারেন।

যাদের মাথার ত্বকটা বেশ পাতলা তারা টেলোজেন এফ্লুভিয়াম চিকিৎসা নিতে পারেন। এই চিকিৎসার কারণে আপনার রানিং চুলগুলি ধীরে ধীরে সব ঝড়ে পড়তে পারে। তবো চিন্তার কোনো কারণ নেই। পরবর্তীতে সেই একইভাবে আরো ঘন চুল গজাবে এবং এই নতুন গজানো চুলগুলি হবে বেশ শক্ত এবং স্বাস্থ্যবান। এই চিকিৎসাটি মূলত ৬/৯ মাস ধরে নিতে হয়। এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী টেলোজেন এফ্লুভিয়াম চিকিৎসা আপনার চুলকে বেশ লম্বা হতেও সাহায্য করতে সক্ষম।

অ্যানাজেন এফ্লুভিয়াম চিকিৎসা! এই চিকিৎসাটি তাদের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয় যাদের কেমোথেরাপি চিকিৎসা নেওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে চুল ইতিমধ্যেই ঝড়ে গেছে এবং ঝড়ে যাচ্ছে। এই চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো ফলাফল পেতে হলে আপনাকে অন্ততপক্ষে বছরখানেক অপেক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি বলে রাখা ভালো এই টেকনিকটি এপ্লাই করা কিন্তু বেশ ব্যয়বহুল ব্যাপার।

প্রোপেসিয়া বা ফিনাস্টেরাইড হলো আরো একটি চুলের চিকিৎসার নাম। যা কেবল পুরুষদের জন্যেই প্রযোজ্য। এই চিকিৎসা সাধারণ হরমোনাল সমস্যা নিয়ে কাজ করে। যা সরাসরি চুল ঝড়ে পড়ার সমস্যার সমাধানের সাথে সম্পর্কিত। সুতরাং লজিক অনুযায়ী এই চিকিৎসাটুকু করাতে পারলে আপনাকে পুরুষ হিসেবে টাক হয়ে যাবার মতো জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।

ডুটাস্টেরাইড চিকিৎসা! এটি একধরণের অস্ত্রোপচার টাইপের চিকিৎসা। যা করতে গেলে আপনাকে প্রচুর টাকা গুনতে হবে। যদিও আজকাল দেশের ভেতরেই এই চিকিৎসা উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে। মূলত মাথার এক অংশ থেকে অন্য অংশে চুলের ফলিকল অপসারণ করে এই চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।

ইতি কথা

আজকের আলোচনা ছিল চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার তেল, চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ, মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম, মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার, চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ঔষধ, চুল পড়া বন্ধ করার ইসলামিক উপায়, চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়, চুল পড়ার ডাক্তারি চিকিৎসা এবং অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় নিয়ে এই ছিলো আমাদের আজকের এই আয়োজন। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি আপনাকে কিছুটা হলেও উপকৃত করবে। তবুও যদি কোনোধরণের প্রশ্ন থেকে থাকে তবে আমাদের তা জানাতে পারেন। আমরা যথাসম্ভব দ্রুত রেসপন্স করার চেষ্টা করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *