জেনে নিন কোন ফলে কি পরিমান ভিটামিন আছে – ১০টি ফলের তালিকা

কোন ফলে কি পরিমান ভিটামিন আছে

জীবনের অন্যতম আনন্দ হল ফল ভোগ করা। ফলগুলি পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা আপনাকে অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে পারে। যাইহোক, জীবনের অন্য যেকোনো কিছুর মতো, ফল খাওয়ার ক্ষেত্রেও ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। অত্যধিক ফল ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে, যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে না খাওয়া আপনাকে অসন্তুষ্ট এবং বঞ্চিত বোধ করতে পারে।

তাই কোন ফল কতটুকু খাবেন এবং কোন ফলে কি ভিটামিন পাওয়া যাবে সেটা জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এই নিবন্ধে আমরা সেরা ১০টি ফলের তালিকা দিয়েছি এবং কোন ফলে কি পরিমান ভিটামিন আছে অথবা কতটুকু খাবেন তা নিয়ে আলোচনা করেছি:

আম:

আম একটি স্বাস্থ্যকর ফল যা নানাভাবে উপভোগ করা যায়। যাইহোক, কতটা আম খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে আপনি কী অর্জন করতে চাইছেন তার উপর। আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার আম খাওয়ার দিনে দুই বা তিনটি সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করা উচিত। আপনি যদি আপনার ওজন বজায় রাখার চেষ্টা করেন তবে আপনি যত খুশি আম উপভোগ করতে পারেন।

আম কেন খাবেন এবং কতটুকু খাবেন জেনে নিন

আম কেন খাবেন?

পাকা আমে গ্লুকোজ বেশি থাকার কারণে অল্প খেলেই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সমেস্যা হতে পারে। কিন্তু কাঁচা আম খাওয়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কোন সমেস্যা নয়। স্ট্রোকের রোগী ও নিউরোলজিক্যাল বিভিন্ন সমেস্যা থাকলে তাদের জন্য কাঁচা আম খুব উপকারী।

কাঁঠাল:

কাঁঠাল একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল যা তাজা খাওয়া যায় বা রেসিপিতে ব্যবহার করা যায়। এটি একটি আকর্ষণীয় ফল কারণ এটি একটি গাছ এবং ফল উভয়েরই সমন্বয়। ফল নিজেই একটি শক্ত খোসায় আবদ্ধ থাকে। ফল এবং ফলের ভিতরের বীজ খাওয়া যায়। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

কাঁঠালে শর্করার পরিমাণ বেশি, আর যেহেতু শর্করার পরিমান বেশি, এনার্জি লেভেলটাকে ভালো রাখতে পারে।

কাঁঠালে কি পরিমান ভিটামিন আছে?

কাঁঠালে কি পরিমান ভিটামিন থাকে

কাঁঠাল এমন একটি ফল যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যাই. প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পুষ্টিমান হিসেবে মোট কত টুকু পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যাই এগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:

প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে আছে:

ভাত কমিয়ে খেলে কাঁঠাল খেলে লাভ আছে, নয়তো হিতে বিপরীত হতে পারে।
এই কাঁঠাল কারো কারো ক্ষেত্রে হজম বৃদ্ধি করে আবার উল্টোটাও দেখা যাই।
কারো কারো পেট ফুলে যাই,হজমে সমেস্যা ও হয়।

লিচু:

লিচু একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল। লিচু ফলটি অনেকেরই প্রিয়। ফলের মিষ্টি এবং টক জাতীয় স্বাদ রয়েছে। এটি অনেক ধরণের খাবারে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। লিচু গাছের আদি নিবাস চীন এবং ভিয়েতনামের তবে এখন বাংলাদেশ, ভারত সহ সারা বিশ্বে পাওয়া যায়।

লিচুতে কি পরিমান ভিটামিন আছে?

লিচুতে কোন কোন পরিমান ভিটামিন পাওয়া যাবে

তবে লিচু বেশি খেয়ে ফেললে অনেক সময় বেশ অসুবিধায় পড়তে যেতে হয় । তাই এই ফলটি খাওয়ার আগে এর উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা এবং লিচুতে কতটুকু ভিটামিন পাওয়া যাবে এসব বিষয় গুলো জেনে রাখা বেশ জরুরি।

প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে আছে:

লিচু শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। লিচুতে ভিটামিন সি আছে, যা ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী। ফ্ল্যাভানয়েডস নামের একটি উপাদান থাকে লিচুতে, যা স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

কালো জাম:

কালো জাম দেখতে কালচে বেগুনি রঙের এবং ছোট আকারে হয়ে থাকে। কালো জাম হলো গ্রীষ্মকালে ফল যা আমের মত আরেকটি জনপ্রিয় ফল। কালো জাম হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এই ফলটি খেতে খুব মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরা। ডায়েটি ফাইবারের একটি উৎস কাল জাম। ছোট বড় সবারই এই ফল বেশ পছন্দের।

এই ফলটি লিভারকে সক্রিয় করে। জামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। প্লীহাটি হজম ট্র্যাক্টকে সর্বোত্তম সুস্থ রাখে। এই ফল ভিটামিন সি-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি চুল ও ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারি।

কালো জামে ভিটামিনের পরিমাণ কত?

কালো জামে কি পরিমান ভিটামিন আছে?

জাম খুব ভালো একটা ফল, জামের সময় সবারি এই ফল খাওয়া উচিত। ২৫০ মিলি খাপ পরিমান জাম কেউ নির্দ্বির্ধায় খেতে পারেন।

কালো জামে প্রচুর পরিমাণে উপকারি উপাদান থাকে যেমন:

এছাড়াও আরও অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কালো জাম কেনো খাবেন?

কালো জামের চিকিৎসা গুণ ও বহুমাত্রিক উপকারিতা রয়েছে। কালো জাম কোনো খাবেন এবং কালো জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্বন্ধে নেচে আলোচনা করা হলো :

আরো পড়ুন:

পেয়ারা:

পেয়ারা এমন একটি ফল যা প্রায় সারা বছর পাওয়া যায়। পেয়ারা সাধারণত শীতল প্রকৃতির হয়ে থাকে। অন্যান্য ফলের তুলনায় এই ফল দামে সস্তা ও সহজলভ্য। এটি খেতে অনেক সুস্বাধু এবং পুষ্টিগুণে ভরা অন্যান্য ফলের তুলনায়. এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা অন্য যেকোনো ফলে পাওয়া যায় না।

পেয়ারা খেলে অনেক ধরণের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় কারণ পেয়ারা একটি ফাইবার জাতীয় ফল। যদি কারোর ঠিকমত পায়খানা না হয় তবে সমস্যার সমাধান করা যাই পেয়ারা খাবার মাধ্যমে। কারণ পেয়ারাতে আছে ভিটামিন এ যার কারণে এটি খেলে এটি আমাদের পেটের সমস্যা সমাধান এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

পেয়ারায় কি পরিমান ভিটামিন থাকে

যদি চোখে ছানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে পেয়ারা খেলে এটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। এছাড়া স্বাস্থ্যের উপকারিতা হিসাবে পেয়ারার রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

পেয়ারায় কি পরিমান ভিটামিন আছে?

কাজী পেয়ারার থেকে দেশি পেয়ারা পুষ্টিগুণে অসাধারণ। এখন তো আর সেই পিয়ারা পাওয়া যাই না।

প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় যে পরিমান ভিটামিন পাওয়া যায়:

তরমুজ:

তরমুজে প্রচুর পরিমান পানি থাকে। তাই কিডনী রোগীরা এই ফল খেতে পারেন। আর পানি আছে বলেই যে একটু পর পর তরমুজ খাবেন সেটাও শরীরের জন্য উপকারী নয়। অতিরিক্ত তরমুজ খেলে বদহজম ও অ্যাসিডিটি তৈরী হতে পারে।

তরমুজে কি পরিমান ভিটামিন পাওয়া যাই

তরমুজে কি পরিমান ভিটামিন থাকে?

তরমুজ এমনি একটি ফল যা কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখতে যা কার্যকরী হিসাবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও এটি আপনার মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে , প্রচন্ড গরমে ভিতরে আপনাকে এনেদেয় ঠাণ্ডার প্রভাব।

তরমুজ কেনো খাবেন?

তরমুজ হৃদরোগীদের জন্য এটি খুব উপকারী ফল হিসাবে ধরা হয়। যদি কারো টাইফয়েড রোগ হয় এবং সে যদি যদি আধাপাকা তরমুজের রস ২ চা চামচ প্রতিদিন খায় তাহলে সে এই রোগ থাকে মুক্তি পেতে পারে। তরমুজে প্রচুর পটাশিয়াম আছে, যা আপনাকে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও তরমুজে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড , যা আপনার চোখকে সুস্থ ও ভালো রাখতে সহায়তা করে।

ড্রাগন ফল:

ড্রাগন এক ধরনের ক্যাকটাস ভিত্তিক ফল। এই ফলটি পিটায়া (Pitaya) নামেও পরিচিত, এটি একটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক ফল যা এশিয়ায় ধর্মীয় ও ঔষধি ব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। ড্রাগন ফল আমাদের রক্তে আয়রনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অত্যান্ত গরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ড্রাগন ফ্রুট আমাদের হজমে সহায়তা করে।

কোন ফলে কি পরিমান ভিটামিন আছে

ড্রাগন ফল আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এই ফল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। রক্তচাপ, ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি হার্ট ভাল রাখার সহায়তা করে। ড্রাগন ফল এর ক্ষুদ্র কালো বীজগুলি, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ।

ড্রাগন ফলে কি পরিমান ভিটামিন থাকে?

এক কাপ ড্রাগন ফ্রুট যে পরিমান উপাদান থাকে:

ড্রাগন ফল এর উপকারিতা কি?

ড্রাগন ফল একটি অনন্য ফল যার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এখানে কিছু মূল সুবিধা রয়েছে:
ড্রাগন ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন উচ্চ, যা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ফাইবারের একটি ভাল উৎস, যা আপনার হজম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

ড্রাগন ফল এছাড়াও স্বাস্থ্যকর চর্বি দ্বারা প্যাক করা হয়, যা ওজন কমাতে এবং আপনার কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো অবস্থার চিকিৎসার জন্য ড্রাগন ফল ব্যবহার করে।

Exit mobile version