অনলাইনে ছাত্রদের জন্য আয় করার অনেক উপায় আছে। ছাত্র জীবনে আমরা অনেকেই অনলাইনে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করতে চায়। কিন্তু সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ার কারনে সেই সপ্ন অনেকেরই সত্যি হয়ে ওঠে না। মুলত এ কারণেই আমরা ছাত্রজীবনে অনলাইনে আয় করতে পারি না অথবা অনলাইনে টাকা ইনকাম করার নামে প্রতারিত হয়।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় আছে অনেক যা আমরা অনেকেই জানিনা। আমি ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার সেরা ১০টি সেরা উপায় খুঁজে বের করেছি। এখন সেগুলো নিয়েই আলোচনা করবো। এর ফলে আপনি সঠিক উপায় অবলম্বন করে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। তো চলুন দেরী না করে শুরু করি।
সুচিপত্র
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় আছে। আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে Upwork এবং Fiverr হবে আপনার জন্য সেরা উপায়। Upwork এবং Fiverr হল এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে লোকেরা পাঁচ ডলার বা তার কম খরচে পরিষেবা দিতে পারে।

এই ওয়েবসাইটগুলো এমন শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত যারা অনলাইনে ইনকাম করার উপায় খুঁজে। ছাত্ররা অফার করতে পারে এমন অনেকগুলি বিভিন্ন পরিষেবা রয়েছে। মোটামুটি ভাবে কাজ শিখে আপনি এখন থাকে ভালো পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে কাজ করার পাশা পাশি আপনাকে আরো অনেক কিছু জানতে হবে, শিখতে হবে।
আপনি এখন যতটুকু জানেন তা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন। কিন্তু পাশা পাশি যদি আরো কিছু শিখার চেস্টা না করেন তবে আপনি বেশি দিন এই সেক্টরে কাজ করতে পারবেননা। কারণ প্রতিনিয়ত গুগল তাদের রুলস আপডেট দেয়। আপনাকেও গুগলের সাথে আপডেট থাকতে হবে।
যাইহোক আপনি যদি Upwork এবং Fiverr মার্কেটপ্লেসকে আপনার অর্থ উপার্জনের জন্য ঠিক করেন তবে এখন থেকে ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে আপনার ইনকাম শুরু করতে পারেন। তাছাড়া নতুনদের জন্য Fiverr খুব জনপ্রিয়।
ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার উপায়
ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার অনেক উপায় আছে। অনলাইনে অর্থ উপার্জনের অন্যান্য জনপ্রিয় পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে ইবে এবং অ্যামাজনে পণ্য তৈরি এবং বিক্রি করা এবং টিউটরিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি। এখন আমরা অনলাইনে টাকা ইনকাম করার এমন কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।
১. ইউটিউব থেকে আয় করা
বর্তমানে সবথেকে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম হলো ইউটিউব। দৈনিক ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও বিভিন্ন স্থান থেকে আপলোড হয়। তবে এসব ভিডিও বিভিন্ন স্থানে থাকে আমার আপনার মতো মানুষ তৈরি করে এবং আপলোড দেয়। এই ভিডিও তারা কখনোই এমনি এমনি আপলোড দেয় না। এর জন্য তারা গুগল থেকে টাকা পায়।

তবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করলেই আয় করা যায় না। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আয় করতে হলে প্রথমত চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিও গুলো মনিটাইজেশন পলিসি অনুযায়ী হতে হবে এবং অবশ্যই কপিরাইট মুক্ত হতে হবে।
এই বিষয় গুলো মেনে চলতে পারলে আপনি মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মনিটাইজেশন পাওয়ার পর গুগল আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাবে এবং সেই বিজ্ঞাপন থেকে আপনার আয় হবে। এভাবেই আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।
২. ব্লগিং করে আয় করা
বর্তমানে অনলাইন আয় করার একটি জনপ্রিয় উপায় ব্লগিং। অনেকে নিজেদের জ্ঞান লেখনীর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরী করে শেয়ার করে। একে ব্লগিং বলে। বর্তমানে ব্লগিং করে বিভিন্ন ভাবে আয় করা যায়। বিশেষ করে আপনি যদি ভালো রাইটার হন তাহলে ব্লগিং করে মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।

বর্তমানে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে সাধারণত মানুষ ব্লগিং করে আয় করে। গুগল এডসেন্স ইউটিউবের মতোই বিজ্ঞাপন দেখায় তবে সেটি ওয়েবসাইটে। তবে ইউটিউবের মতো ব্লগে এডসেন্স পেতে হলে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরন করতে হয় না। আপনার কন্টেন্টের মান ভালো হলে আপনি যদি আবেদন করেন তাহলে এডসেন্স পেয়ে যাবেন।
এডসেন্স পাওয়ার পর গুগল আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখাবে এবং সেই বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর থাকতে হবে। তাছাড়া স্পন্সর, আফিলিয়েট মার্কেটিং, রেফারেল ইত্যাদি করেও ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন।
৩. ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করা
বর্তমানে মার্কেটিং করার ডিজিটাল সংস্করণ ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে পরিচিত। অনেক কোম্পানি আছে যারা তাদের মার্কেটিং ভালোভাবে করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটার খোঁজে। আপনি যদি ভালো ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

বর্তমানে প্রায় সকল কোম্পানি মার্কেটিং এর পেছনে তাদের অধিকাংশ টাকা খরচ করে। মুলত এ কারণেই ডিজিটাল মার্কেটারদের অনেক কদর। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত প্রচুর কাজ আপনি পেয়ে যাবেন। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে কম্পিটিশন একটু বেশি। সেক্ষেত্রে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।
৪. ওয়েবসাইট তৈরী করে আয় করা
আপনি যদি ভালো ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারেন তাহলে ওয়েবসাইট তৈরী করেই আপনি অনলাইনে মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেকেই ওয়েবসাইট তৈরী করতে চাই। কিন্তু ভালো মানের ডেভলপার পাওয়ায় না। ভালো মানের একটি ওয়েবসাইটের তৈরী করতে হলে প্রচুর ক্ষেত্রে জ্ঞান থাকা লাগে যা অনেকেরই থাকে না।

আপনার যদি এই বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান থাকে তবে আপনি তাদের ওয়েবসাইট তৈরী করে দিয়ে আয় করতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে পারেন। তবে বর্তমানে কোডিং ছাড়ায় ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার ইত্যাদি প্লাটফর্মের সাহায্যে ওয়েবসাইট তৈরী করা যায়।
তবে এক্ষেত্রেও একজন ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট প্রয়োজন হয় যদি ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরী করতে চায়। আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেসের কাজ শিখেও আয় করতে পারবেন।
৫. আর্টিকেল লিখে আয় করা
আপনি কি লিখতে ভালোবাসেন? তাহলে লেখালেখি করেই আপনি অনলাইনে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে একজন ভালো আর্টিকেল রাইটারের মুল্য অনেক। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে। তাছাড়া আপনি যদি ভালো আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে অনলাইন পত্রিকাতেও আর্টিকেল লেখার সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন।

আবার আপনি নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। তবে আর্টিকেল রাইটারদের চাহিদা থাকাই বর্তমানে এই সেক্টরেও কম্পিটিশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই অভিজ্ঞ হয়ে কাজ শুরু করুন। অন্যথায় হতাশ হতে পারেন।
৬. গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করা
বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলোর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন অন্যতম। থাম্বনেইল ইডিটিং, ভিডিও ইডিটিং, লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কদর অনেক। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো নিয়ে রিসার্চ করেন তাহলে দেখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে সেখানে প্রচুর কাজ আছে।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই অবশ্যই একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হবে। এক্ষেত্রে একটি ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত কোর্স করতে পারেন।
৭. ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে আয় করা
যারা খুব দ্রুত ভাইরাল হয় তাদেরকে ইনফ্লুয়েন্সার বলে। বর্তমানে ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে বিভিন্ন দিক থেকে আয় করা সম্ভব। প্রথমত আপনি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। যদি আপনার ভিডিও প্রচুর মানুষ দেখে তাহলে ইউটিউব থেকে মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।

আবার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, টিকটক ইত্যাদি স্থানে থেকেও ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে প্রচুর টাকা আয় করা যায়। বর্তমানে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হচ্ছে। কারন সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হওয়া যায়। তাছাড়া আপনি আফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সর ইত্যাদি নিয়েও ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে আয় করতে পারবেন।
আপনার যদি আকর্ষণীয় দিক যেমন গান গাইতে পারা, ছবি আঁকতে পারা, কৌতুক করা ইত্যাদি থাকে তাহলে সেই দক্ষতা গুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই ইনফ্লুয়েন্সার হওয়া যায়।
৮. অ্যাপ তৈরী করে আয় করা
প্রথমত মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে হলে অবশ্যই প্রচুর জ্ঞান থাকা লাগবে। বিশেষ করে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে প্রচুর জানতে হবে। বর্তমানে অনেক মানুষের অ্যাপস দরকার হয়। আপনি যদি ভালো অ্যাপ তৈরি করতে পারেন তাহলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি মোটামুটি ভাবেও তৈরী করতে পারেন তাহলেও কিছু টাকা আয় করতে পারবেন।

তাছাড়া আপনি নিজস্ব অ্যাপ তৈরি করে বিভিন্ন অ্যাপ স্টোর থেকে ইউজার সংখ্যা বাড়িয়ে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে গুগল এডমব ব্যবহার করে অ্যাপে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা যায়। তাছাড়া অ্যাপ তৈরি করার সাথে সাথেই গুগল এডমব পাওয়া যায় তাই বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় না।
০৯. ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা
ফ্রিল্যান্সিং অর্থ উপার্জনের একটি জনপ্রিয় উপায় হয়ে উঠেছে। এটি কাজ করার একটি নমনীয় উপায় এবং বাড়িতে থেকে করা যেতে পারে। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কাজ খোঁজার অনেক সুযোগ রয়েছে। অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলো ফ্রিল্যান্সের সুযোগ দেয়।

তবে মনে রাখবেন কেউ রাতারাতি ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হয় না। এই শিল্পে সফল হতে সময়, পরিশ্রম এবং অনেক দক্ষতা লাগে। যাইহোক, এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা আপনি আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়াতে সাহায্য করতে পারেন।
প্রথমত, সক্রিয় হোন এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে যতটা পারেন শিখুন। দ্বিতীয়ত, একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও তৈরি করুন যা আপনার দক্ষতার সেটটি প্রদর্শন করে এবং আপনাকে প্রতিযোগিতা থেকে আলাদা করে তোলে। অল্প পরিশ্রম এবং কিছু স্মার্ট কৌশলের মাধ্যমে আপনি সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন!
১০. অ্যামাজন এফিলিয়েট করে ইনকাম করা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে অর্থ উপার্জনের একটি দুর্দান্ত উপায়। সাধারণভাবে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল প্রচারের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে কমিশন উপার্জন করার প্রক্রিয়া। Amazon এর সাথে একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের জন্য যোগ্যতা অর্জন করার জন্য, আপনাকে প্রথমে একজন সহযোগী হিসাবে অনুমোদিত হতে হবে।

আপনি অনুমোদিত হওয়ার পরে, আপনাকে আপনার অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং আপনি যে পণ্যগুলি প্রচার করতে চান তা নির্বাচন করতে হবে। একবার আপনি পণ্যগুলি নির্বাচন করার পরে, আপনাকে প্রতিটির জন্য সামগ্রী তৈরি করতে হবে এবং আপনার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলিতে তাদের প্রচার করতে হবে।
আপনাকে Amazon-এ একটি শপিং কার্ট তৈরি করতে হবে এবং আপনি এতে যে পণ্যগুলি প্রচার করেছেন তা যুক্ত করতে হবে৷ অবশেষে, যখন কেউ আপনার সামগ্রীতে বা আপনার শপিং কার্টে অন্তর্ভুক্ত করা লিঙ্কগুলির একটিতে ক্লিক করে, তখন আপনি যে বিক্রয় করা হয়েছে তার জন্য একটি কমিশন পাবেন।
অনলাইনে ছাত্রদের জন্য আয় করার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কোনটি?
যখন এটি একটি অনলাইন আয় খোঁজার ক্ষেত্রে আসে, তখন কয়েকটি বিকল্প রয়েছে যা শিক্ষার্থীরা অন্বেষণ করতে পারে। এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত একটি প্ল্যাটফর্ম হল Fiverr। এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহারকারীদের সারা বিশ্ব থেকে ফ্রিল্যান্স কাজ খোঁজার সুযোগ দেয়। এতে বিভিন্ন ধরনের কাজ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যেমন লোগো ডিজাইন বা লেখার বিষয়বস্তু।
আপওয়ার্ক অনলাইন শিক্ষার্থীদের জন্য আরেকটি দুর্দান্ত বিকল্প। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের চাকরি পোস্ট করতে এবং যোগ্য প্রার্থীদের সন্ধান করতে দেয়। এটিতে এমন একটি ব্যবস্থাও রয়েছে যেখানে কর্মীরা তাদের কাজের পারফরম্যান্সের উপর কমিশন উপার্জন করতে পারে।
অনলাইন শিক্ষার্থীদের জন্য আরেকটি দুর্দান্ত বিকল্প হল flippa.com। এই ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের অনলাইন পণ্য এবং পরিষেবা বিক্রি করতে পারবেন. এটিতে এমন একটি ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা দাম এবং শর্তাদি নিয়ে আলোচনা করতে পারে।
অবশেষে, শাটারস্টক হল স্টক ফটোগুলির একটি দুর্দান্ত উত্স যা শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকল্প বা ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে পারে।
কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়
আমাদের দেশে অনেক মানুষ অনলাইনে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। এসব দেখে আপনার মনেও প্রশ্ন জাগতে পারে কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়। আর এটাই স্বাভাবিক। উপরে আমরা অনলাইনে টাকা ইনকাম করার দশটি উপায় আলোচনা করেছি।
আপনার আশে পাশে যেসব বড়ো ভাইরা অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করছে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে তাদের কাছ থেকে কিছু কাজ শিখে নিতে পারেন। যদি আপনি তাদের ভালো কাজ দেখতে পারেন তবে তারাই আপনাকে তাদের কাজ দেবে। এভাবেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এছাড়াও আরো অনেক উপায় আছে যদি জানতে চান তবে আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আমি আপনাদের জন্য আরো সহজ উপায় বলে দেব।
ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার শেষ কথা
উপরোক্ত আটটি উপায়ের মধ্যে যেকোনো একটি আপনি বেছে নিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। অনেকে মনে করে ছাত্র জীবনে আয় করা সম্ভব নয়। তবে একটু মেধা খাটিয়ে এবং পরিশ্রম করে অনলাইনেও প্রচুর টাকা আয় করা যায়। এর জন্য প্রয়োজন শুধু সঠিক গাইডলাইন এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তি।
অনলাইনে ছাত্রদের জন্য আয় করার উপায় নিয়ে আপনার যদি আরোও প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করুন। আমরা খুব তাড়াতাড়ি আপনার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। প্রতিদিন এমন আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন।
——- ধন্যবাদ সবাইকে।